ই-পেপার | সোমবার , ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভাঙ্গায় অবৈধভাবে জমি দখল করে ভবন নির্মাণ; আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি

ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাপুরিয়া সদরদী গ্রামের মো:মিজানুর রহমান(৪২) গংদের ৬ শতাংশ জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল করে জোরপূর্বক একটি আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রাখার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার তুজারপুরের সিদ্দিক মোল্যা (৫৮) গংদের বিরুদ্ধে।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাপুরিয়া সদরদী গ্রামের মো: মিজানুর রহমানের সঙ্গে তুজারপুরের সিদ্দিক মোল্যা গংদের ৫৫ নং মৌজার বি,এস খতিয়ান নং-১৩১১ ও বি,এস ৪৩৮৭ নং দাগের মোট ৭ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

 

আপস মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে চলতি বছরের ১৩ মার্চ ফরিদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন।

 

পরবর্তীতে আদালত বিরোধীয় জমিতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে ১৪৪ জারি করেন যার স্মারক নাম্বার ৩২৮। এছাড়ও ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কে উক্ত জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ফরিদপুর।

 

এ বিষয়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক আব্দুল রহিম মাতুব্বর বলেন, সিদ্দিক মোল্যার পশ্চিম পাশেই আমার জমি। তিনি জায়গার সীমানা নির্ধারণ না করেই জোরপূর্বক আমার জমির কিছু অংশে বালু ফেলে ভরাট করেছে।এছাড়া তিনি মিজান মোল্যার (মো: মিজানুর রহমান) আইল বালু দিয়ে ঢেকে ফেলেছে।আমার জমি সঠিকভাবে মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়ার দাবি জানাই।

 

এ বিষয়ে মো: মিজানুর রহমান বলেন, সিদ্দিক মোল্যা গং প্রভাবশালী হওয়ার জোরপূর্বক আমার ৬ শতাংশ জমির উপর বালু দিয়ে ভরাট করে একটি আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

 

কিন্তু ক্রয়সূত্রে ও বি,এস রেকর্ড অনুযায়ী এই জমির মালিক আমার পিতা কাশেম মোল্যা এবং আমার চাচা ও ফুফু।

 

মিজানুর রহমান আরো জানান, সিদ্দিক মোল্যা ভেকু দিয়ে তার জমিতে বালু ভরাট করার সময় আমার ৬ শতাংশ জায়গার উপর বালু ফেলে ভরাট করে।

 

আমি এ বিষয়ে ভাঙ্গা পৌর মেয়র আবু রেজা মো: ফয়েজ কে অবহিত করলে তিনি সরেজমিনে এসে বলেন, এখানে সড়ক ও জনপদের জায়গা রয়েছে। তাই সরকারি আমীন এনে সড়ক ও জনপদের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।এরপর যার যার জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে। কিন্তু তিনি (সিদ্দিক মোল্যা) মেয়র মহোদয়ের একথা অমান্য করে তার নির্মাণ কাজ চালু রাখলে আমি আদালতে মামলা করি।এরপর আদালত এই বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে।

 

আমি আমার জায়গা সঠিকভাবে বুঝে পেতে প্রশাসন ও মহামান্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

এ বিষয়ে সিদ্দিক মোল্যার নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

 

এ ব্যাপারে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা (এস আই) সিরাজুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।