নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগের সহযোগী তিন সংগঠনের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ শর্তে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশ। তবে, এসব শর্তের সাতটি মানেনি যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
একই দিন দুপুর ২টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। তাদেরও ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু জানা যায়, বিএনপিও ২৩ শর্তের ১১টি মানেনি।
যেসব শর্ত মানেনি আওয়ামী লীগের সংগঠনগুলো
ডিএমপির ৩নং শর্তে বলা হয়েছে, অনুমোদিত স্থানেই (দক্ষিণ-পূর্বে মহানগর নাট্যমঞ্চ, দক্ষিণে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স, দক্ষিণ-পশ্চিমে ফুলবাড়িয়া ক্রসিং ও উত্তর-পশ্চিমে মুক্তাঙ্গন পর্যন্ত) সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিএমপির বেঁধে দেওয়া সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি সমাবেশ। নির্ধারিত স্থানের বাইরেও নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল।
৪নং শর্তে বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে (দক্ষিণ-পূর্বে মহানগর নাট্যমঞ্চ, দক্ষিণে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স, দক্ষিণ-পশ্চিমে ফুলবাড়িয়া ক্রসিং ও উত্তর-পশ্চিমে মুক্তাঙ্গন পর্যন্ত) কোনো ধরনের জনসমাগম করা যাবে না। সরেজমিনে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের সমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নির্ধারিত স্থানের বাহিরে চলে যায়।
৭নং শর্তে বলা হয়েছে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সরেজমিনে দেখা গেছে এ শর্তও ভঙ্গ হয়েছে। সমাবেশে আগতদের মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়নি।
৮নং শর্তে বলা হয়েছে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের সমাবেশের কোথাও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দেখা যায়নি।
৯নং শর্তে বলা হয়েছে, শব্দদূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। কোনোক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে (দক্ষিণ-পূর্বে মহানগর নাট্যমঞ্চ, দক্ষিণে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স, দক্ষিণ-পশ্চিমে ফুলবাড়িয়া ক্রসিং ও উত্তর-পশ্চিমে মুক্তাঙ্গন পর্যন্ত) মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। আওয়ামী লীগের সমাবেশে এ শর্তও ভঙ্গ হয়েছে। নির্ধারিত স্থানের বাইরে মাইক ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
১৫নং শর্তে বলা হয়েছে, অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে। আওয়ামী লীগের সমাবেশ ঠিক সময়ে শুরু হলেও শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ সাড়ে ৬টার দিকে।
১৬নং শর্তে বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। এটিও ভঙ্গ হয়েছে।