ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘যাত্রীদের টার্গেট করে ছিনতাই করতো তারা’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘যাত্রীদের টার্গেট করে ছিনতাই করতো তারা’বামে গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা ও ডানে কথা বলছেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।

ঢাকা: ‘রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের বিভিন্ন থানা পুলিশ। যারা দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করা যাত্রীদের টার্গেট করে ছিনতাই করে আসছিল।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ছয়টি মোবাইল, দুটি ছুরি, একটি ব্লেড, জান্ডুবাম মলম ও ৫০ গ্রাম মরিচের গুড়া উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওয়ারীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।

 

তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ী হয়ে দেশের ৪০টি জেলায় যাত্রীরা যাতায়াত করেন। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই এই এলাকায় গাড়ি চলাচল করে। রাতেও সমান তালে ব্যস্ত থাকায় এই এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ডেমরা থেকে ছিনতাইয়ের সময় হাতে-নাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ওয়ারীর গেন্ডারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রত্যেকের নামে পাঁচ থেকে ছয়টিরও বেশি মামলা আছে।

গ্রেপ্তারদের সবার বয়স ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে। তারা রাতে মহাসড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিতে ওৎপেতে থাকে। যখন বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারণ মানুষ ঢাকায় এসে নামে অথবা ঢাকা থেকে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয় তখন তারা যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে।

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ডিসি বলেন, আমরা অপরাধীদের নিয়মিত নজরদারিতে রাখি। কিন্তু তাদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। এছাড়া তারা জামিন পেয়ে এলাকা পরিবর্তন করে ফেলে। যাত্রাবাড়ী এলাকায় অপরাধ করে গ্রেপ্তার হলে কারাগার থেকে বের হয়ে মিরপুর এলাকায় চলে যায়। তখন তাকে নজরদারিতে রাখা কষ্ট হয়ে যায়। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের পক্ষ থেকে নজরদারি করার জন্য টিম আছে। পাশাপাশি ছিনতাই প্রতিরোধে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। ফলে ঢাকায় প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে।

 

তিনি আরও বলেন, ডিএমপির ওয়ারী বিভাগে ইতোমধ্যে তিনজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও তিনজন সহকারী পুলিশ কমিশনারকে (এসি) নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। আমি নিজেও তাদের সঙ্গে কাজ করছি। প্রতিদিন রাতে ওয়ারী বিভাগের ৩৬টি টিম কাজ করে। ফলে অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছে। ঢাকা ছিনতাইকারীমুক্ত করতে যা যা করা দরকার আমরা করবো।

 

আরেক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হোসাইন বলেন, আপনারা জানেন ঢাকা শহরে যানজট একটি বড় সমস্যা। আমরা এটি মাথায় রেখে যানজট নিরসনে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। ওয়ারী বিভাগের ট্রাফিক ডিভিশনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে স্কুল কলেজের সামনে থেকে হকার, গাড়ি পার্কিং বন্ধ করা হয়েছে। যাতে স্কুলে যাতায়াত করা সহজ হয়, আশা করছি দ্রুতই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।