ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চকরিয়ায় ভোর রাতে দু’বসতবাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

ঈদগাঁও প্রতিনিধি:

কাল রংয়ের মাইক্রোবাসে করে ১০/১২ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২ টি রসতবাড়ির দরজা ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্নালংকারসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করেছে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারী) ভোর রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের নয়াপাড়া ও চড়িবিল গ্রামে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাকাতের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চকরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং জব্দ করেছে ডাকাতের ফেলা যাওয়া মালামাল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড নয়াপাড়ার মেম্বার জিশান শাহরিয়ার বলেন, ভোর রাতে মাইক্রোবাস যোগে ডাকাত দল প্রথমে নয়াপাড়ার আমির মোহাম্মদের পুত্র প্রবাসী জাহেদের বাড়ীতে হানা দেয়। পরিবারের লোকজন না থাকার সুবাধে ডাকাতদল ঐ বাড়ী থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে। একই সময়ে অধ্যক্ষ ওমর হামজার বাড়ীতে প্রবেশের চেষ্টা চালায় এবং দরজায় ব্যাপক আঘাত করে। তবে প্রতিবেশীদের শোরচিৎকারে ডাকাতদল পালিয়ে যাওয়ায় তার পরিবার রক্ষা পেয়েছেন।

একইদিন ফজর নামাজের পূর্বে ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড চড়িবিল গ্রামের লালুর পুত্র সাহাব উদ্দীনের বাড়ীতে ডাকাতদল হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। ঐ সময় সাহাবউদ্দীন পরিবার নিয়ে বাইরে ছিলেন। ডাকাতদল সদর দরজার গ্রীল কেটে ভেতরে ডুকে প্রায় ৭/৮ ভরি স্বর্ণ, নগদ লক্ষাধিক টাকা ও মালমাল লুট করে নিয়ে গেছে। ঐ সময় ডাকাতের কবলে পড়ে মারধরের শিকার হয়েছেন স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন। তিনি মসজিদে আজান দেয়ার জন্য বাড়ী থেকে বের হন। সামনে মুখোশপরিহিত লোকজন ও গাড়ি দেখে ডাকাত বলে চিৎকার দিলে তাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে সশস্ত্র ডাকাতদল।

বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, কাল রংয়ের মাইক্রোবাসটি গভীর রাতে চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কের দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে যেতে। তাদের পিছনেই একটি সাদা রংয়ের নোয়া মাইক্রোবাসও দেখা গেছে। ডাকাতরা ডাকাতি শেষ করে মহাসড়ক দিয়েই পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় পুলিশের টহল ও নজর না থাকার কারণে প্রায়ই চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসী পুলিশি টহলের জোর দাবী জানান।

চকরিয়া থানা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ডাকাতির ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।