বিনোদন ডেস্ক :
প্রথমবার প্রার্থী হয়েই জয় পেলেন ফেরদৌস আহমেদ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। তবে বিনোদন জগতের তারকাদের নির্বাচনে নৌকা পেয়েও বড় ধাক্কা খেলেন মমতাজ বেগম। প্রথমবার প্রার্থী হয়ে হারের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিও।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকার বিজয় এনে দিয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক ফেরদৌসে। ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৩৯ ভোটারের মধ্যে তাকে ভোট দিয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯৮ জন। যার শুরুটা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
নির্বাচনে ফেরদৌসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে হাজি মো. শাহজাহান পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭ ভোট। দুজনের ব্যবধান ৪৩ হাজার ৮৪১ ভোটে। ফেরদৌস বলেন, ঢাকা-১০ আসনের প্রত্যেকটা মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তারা নিরলসভাবে বহু সময় ধরে আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। আপনারা বরাবরই বলেছেন আমাকে ভালোবাসেন। সেটা আজ আমি দেখতে পেয়েছি। এখন সেই ভালোবাসাটা তাদের আস্তে আস্তে ফিরিয়ে দেবো।
প্রথমবার প্রার্থী হয়ে ফেরদৌস জিতলেও পারেননি মাহি। রাজশাহী-১ আসনে ভরাডুবি হয়েছে তার। ১৫৮টি কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহি ভোট পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৯টি। তার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ মনোনীত ওমর ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ভোট।
জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি মমতাজ। মানিকগঞ্জ- ২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেলেন তিনি। অথচ ফোক সম্রাজ্ঞী ছিলেন তিনবারের এমপি। ১৯৩টি কেন্দ্রে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট। আর নৌকা প্রতীকে মমতাজের বাক্সে পড়েছে ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট।
তবে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন নূর। নীলফামারী-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বাকের ভাই খ্যাত এই অভিনেতা। বেসরকারি ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীনকে ১ লাখ ৩ হাজার ৬৫৫ ভোটের বিপুল ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। নূর পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট। বিপরীতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে জয়নাল পেয়েছেন মাত্র ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট।
এদিকে, জাল ভোটসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে দুপুরেই ভোট বর্জন করেছেন পাবনা- ২ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী।