ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে এমপি হতে চান ত্রিশালের জাপার মনোয়ন প্রত্যাশী নাফিজ মাহবুব

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ,ময়মনসিংহ

ছোটোবেলা থেকে মানুষের জন্য কিছু একটা করার তীব্র তাগিদ অনুভব করতেন, সেই অনুভূতি থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন ছাত্র জীবনে। রাজনীতিকে কখনোই তিনি নেশা বা পেশা হিসেবে নেননি, রাজনীতি হচ্ছে তার সাধনা যার মাধ্যমে তিনি জাতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। ব্যক্তি স্বার্থ প্রমাণের জন্য করা রাজনীতি সবসময়ই বিপদজনক, সামাজিক স্বার্থই রাজনীতির লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন এই জননেতা। যেহেতু দুর্নীতির আধিক্যই ভালো রাজনীতির জন্ম না দেওয়ার প্রধান কারণ তাই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বশিক্ষিত একটা প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করার সর্বাত্বক চেষ্টাই নাফিজ মাহবুবের লক্ষ্য।

নাফিজ মাহবুবের জন্ম ২৬ শে অক্টোবর, ১৯৭৭ সালে। ময়মনসিংহ ত্রিশালের উজান দাসপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম। পিতা মোঃ কছিম উদ্দিন পেশায় শিক্ষক ছিলেন, মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক পিতা মো: কছিম উদ্দিনের হাত ধরেই রাজনীতির হাতেখড়ি।

বাবা মোঃ কছিম উদ্দিন ব্যক্তিগত জীবনে রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ত্রিশাল থানা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে বয়সের (৮২বছর) কারণে মাঠে সক্রিয় না থাকলেও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহসভাপতি পদে পদায়িত আছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলির সামনে থেকে জীবন ফিরে পাওয়া মোঃ কছিম উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহন করেননি কারণ হিসেবে সবসময় বলেছেন – সার্টিফিকেটের জন্য যুদ্ধ করিনি, যুদ্ধ করেছি দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে। নাফিজ মাহবুবের মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম আকন্দের সাথে কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে এবং সাহসিকতার সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছেন মোঃ কছিম উদ্দিন মাস্টার।

নাফিজ মাহবুব শৈশব কৈশোরে বেড়ে উঠেছেন ঘুড়ি উড়িয়ে, মাছ ধরে, গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলে। মাটি ও মানুষের সাথে তার নাড়ির সম্পর্কটা খুব ছোটবেলা থেকেই। ছাত্র জীবনে তুখোড় মেধাবী নাফিজ মাহবুব সম্পৃক্ত ছিলেন বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, আবৃত্তি, ফুটবল খেলা এবং স্হানীয় সামাজিক কাজে।

কাটাখালী ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় এর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৯২ সালে এসএসসিতে ১ম বিভাগে উর্ত্তীণ হয়ে হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ এর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। তুখোড় মেধাবী সাবেক এই ছাত্রনেতা নূর মজিদ আর্য়ুবেদিক কলেজ থেকে ডি এ এম এস (আয়ু) সম্পন্ন করেছে। পড়াশোনা শেষে ব্যবসার পাশাপাশি রাজনৈতিক মাঠে সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন এই জননেতা। মূলত ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকা অবস্থা থেকে স্বপ্ন দেখতেন একদিন মহান জাতীয় সংসদে ত্রিশালবাসীর হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। মেধা, সততা, নিষ্ঠা, কর্মশক্তি ও সুন্দর বচন ভঙ্গির মাধ্যমে ত্রিশালবাসীর তরুণ প্রজন্মকে সাথে নিয়ে প্রকৃত অর্থে জনকল্যাণমুখী রাজনীতির প্রয়াস উপস্থাপিত করে জননেতা হিসেবে ত্রিশালবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছে। পাশাপাশি নবজাগরণ কালচারাল পরিষদ- সহ সভাপতি , উত্তরা মিডিয়া ক্লাব- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা, ভাওয়াল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি- মহাসচিব , শিকড় বাংলাদেশ,বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন- প্রেসিডিয়াম মেম্বার , বাংলাদেশ আর্য়ুবেদিক মেডিকেল এসোসিয়েশন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , বাংলাদেশ ভারত সাংস্কৃতিক মৈত্রী- মুখপাত্র ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , ময়মনসিংহ বিভাগ যুব সমিতি-আজীবন সদস্য , বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি-সদস্য,অটিজম সাপোর্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- সদস্য সহ এমন অনেকগুলো সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত।

তার এই পথচলায় অন্যতম অনুপ্রেরণার উৎস হচ্ছেন তার মা মিসেস মাজেদা বেগম এবং সহযোদ্ধা হিসেবে সবসময় সাহস ও অনুপ্রেরণা হিসেবে পাশে থেকেছেন সহধর্মিণী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহানা শারমিন। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এই জননেতা। জাতীয় পার্টির বিভিন্ন শীর্ষপদে থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত জাপার সবুজ সংকেত তালিকায় নাফিজ মাহবুবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রের আস্থাভাজন এই জননেতাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে বরণ করতে বিশেষ ভাবে উৎসুক দৃষ্টিতে ত্রিশালবাসী। রাজপথের লড়াকু সৈনিক, সৎ, সহজ-সরল এবং জনদরদী এই জননেতাকে ত্রিশালবাসী তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে।
নাফিজ মাহবুব আগামী সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ ৭ ত্রিশাল আসনে জাতীয় পার্টির ( রওশন এরশাদপন্থী) মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমি ময়মনসিংহ ৭ ত্রিশাল আসনের জনগণের পাশে আছি এবং সব সময় থাকবো। এমপি নির্বাচিত হলে এই এলাকার উন্নয়নে প্রাণপণে কাজ করে যাবো। মাদক নির্মূল করবো। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করব। জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করব।বেকারত্ব দূরীকরণে সদর প্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করব।

নাফিজ মাহবুব বলেন, আমি কেন্দ্রীয় রাজনীতির কারণে আমাকে ঢাকায় থাকতে হয়। তথাপিও এলাকার জনগণের চাহিদা, সুখ-দুঃখ বুঝি। তাই মব পরে রয় জন্মস্থানে সেহেতু এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে আমার সারাজীবনের ভাবনা।

ময়মনসিংহ ৭ ত্রিশাল আসন ঘিরে নাফিজ মাহবুব এর পরিকল্পনা :

(১) সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সমস্যা সমাধানে প্রতিমাসে ২টি বা ১টি করে “জনতার মুখোমুখি” বা “গণমানুষের জন্য” শীর্ষক ওয়ার্ডভিত্তিক সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা।

(২)কৃষি ও মৎস খামারিদের অগ্রাধীকার ভিত্তিতে যেসব এলাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এসব এলাকায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে সুগভীর ড্রেনেজ ব‍্যবস্থা তৈরি করা।

(৩) ব‍্যবহার অনুপোযোগী স্থানীয় সড়কগুলো অগ্রাধীকার ভিত্তিতে দ্রুত সংস্কারের ব‍্যবস্থা করা।

(৪) বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমাতে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের সাথে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা।

(৫) ক্রমবর্ধমান অপরিকল্পিত নগরায়ণ ঠেকাতে বিশেষজ্ঞ কমিটি, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের সাথে সমন্বিত প্রচেষ্টা শুরু করা।

(৬) যে কোন মূল্যে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে উদ্বোগ গ্রহন করা ও কঠোর হস্তে বাস্তবায়ন করা।

(৭) উন্নয়ন কাজে যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে জনভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদারকির ব‍্যবস্থা করা।

(৮) মাদকের ভয়াবহতা থেকে তরুণদের ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা ও দপ্তর গুলোর সাথে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।লেখা পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা ইত্যাদি গ্রহন করা।

সাথে সাথে সচেতনতামূলোক কার্যক্রম শুরু করা। ধীরে ধীরে খেলার মাঠের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া।

(৯) হাইওয়ে পয়েন্ট বা ভিভিন্ন হাট বাজার সংলগ্ন যানজট লেগে থাকা অপ্রশস্ত সড়কগুলো প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে প্রশস্তকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

(১০) কিশোর অপরাধ অপতৎপরতা রোধে সামাজিক নেতৃত্বের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক সেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে তরুণদের সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

(১১) ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত তীব্র তাপদহহ্রাসকরণে সিটি করপোরেশনের সাথে বৃক্ষরোপণের জন্য প্রয়োজনীয় এলাকা চিহ্নিত করে সেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ এবং সংরক্ষণের ব‍্যবস্থা করা।

(১২) ময়মনসিংহ ৭ ত্রিশাল আসনে বসবাসরত ছিন্নমূল ও বাস্তুহারা মানুষদের পূনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা।

নাফিজ মাহবুব সদস্যঃ জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ও চট্টগ্রাম সাংগঠনিক সমন্বয় কমিটি , জাতীয় পার্টি।সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ১৫২ ময়মনসিংহ ৭ ত্রিশাল আসন। রাজনীতিতে একজন নেতাকে তার যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা উচিত, রাজনীতি জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে, তাই যে ব্যক্তি শিক্ষিত, চরিত্রবান এবং যে ব্যক্তি সমাজের জন্য ভালো কাজ করবে বলে মনে করে ত্রিশালবাসী সেই নেতার হওয়ার যোগ্য, এই বিবেচনায় নাফিজ মাহবুব ত্রিশালবাসীর আর্শীবাদপুষ্ট। সর্বোপরি নাফিজ মাহবুবের পথচলা সুগম হবে সেই শুভ প্রার্থনা.