মোঃ আমিনউল্লাহ টিপু, চন্দনাইশ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা ৭দিনের অবিরাম বর্ষণে এই বন্যার হয়। বর্তমানে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে সাঙ্গু নদীর দু‘কূল উপচে পড়েছে। ফলে নদীর পাড়ের শতশত পরিবারের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে মানুষজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। শতশত একর জমির রবিশস্য বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। নদীপাড়ের বহু পরিবার সাঙ্গু নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত আত্মীয় স্বজনের বাড়ী, উঁচু জায়গাতে পরিবার-পরিজন, গরু, ছাগল নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়া দোহাজারী পৌরসভার বেগম বাজার, কিল্লাপাড়া, রায়জোয়ারা, দিয়াকুল, চাগাচর, বারুদখানা, উল্লাপাড়া চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ জোয়ারা, দক্ষিণ হারালা, সাতভাইয়ের পাড়া, জিহস ফকির পাড়া, উত্তর হারালা, উত্তর জোয়ারা, হাজির পাড়া, খলিফার দিঘি পাড়া এসব এলাকায় পানিবন্দী মানুষ কোথাও যাতায়াত করতে পারছেনা।
উপজেলার দোহাজারী, হাশিমপুর, কাঞ্চনাবাদ, বরমা, বৈলতলী, বরকল, জোয়ারা, ধোপাছড়ি সাতবাড়িয়াতে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি ও হয়েছে। এসব এলাকায় যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের হাশিমপুর ইউনিয়নের বড়পাড়া থেকে পাঠানিপুল পর্যন্ত সড়কে পানি বেশি হওয়ায় গত ২ দিন ধরে গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে। এসব এলাকার যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, সড়ক ও মৎস্য খামারগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মৎস্য খামারের মালিকরা লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। চন্দনাইশ সদরের শাহ আমিন উল্লাহ (রঃ) মাজারের মাঠ ও শাহ আমিন উল্লাহ এতিমখানা এবং হেফজখানার নিচতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
চন্দনাইশ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের তানবির আহমদ জানান, বরুমতি খালের পানিতে আমাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। আশপাশের শতাধিক বাড়ি পানিবন্দী হয়ে আছে।