ই-পেপার | মঙ্গলবার , ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে হবে ৮ দলের টি-টোয়েন্টি লিগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বাইরে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের কথা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। তবে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্ট।

মাসখানেক আগে শেষ হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটের এবারের মৌসুম। আগামী মৌসুমের সূচিতে রাখা হয়েছে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।

ডিসেম্বরের দিকে হতে পারে এটি। মঙ্গলবার বিসিবিতে বৈঠক হয় টুর্নামেন্ট কমিটির। এরপরই চূড়ান্ত হয়েছে এর প্রস্তাবনা। আগামী বোর্ড সভায় অনুমোদন পেলে মাঠে গড়াবে নতুন এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, এক ভিডিও বার্তায় এমনই জানিয়েছেন বিসিবির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় লিগ এবার ১৫ অক্টোবর শুরু হবে। তারপর জাতীয় লিগের দলগুলো নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রস্তাবনা বোর্ডে দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে টুর্নামেন্টটি হবে। এত দিন ধরে যেভাবে হয়ে আসছিল, নির্বাচক প্যানেলই ৮টি দল বাছাই করবে। অনেকগুলো প্রস্তাবনা এসেছিল। সভায় সবাই সম্মতি দিয়েছে। এখন আমরা বোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। ’

‘অনেকদিন ধরে কিন্তু চিন্তা করা হচ্ছিল, স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করা যায় কি না। যেহেতু বিপিএল একটা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। এখানে বিদেশি ক্রিকেটাররা থাকে। তাই স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য একটা টুর্নামেন্ট জরুরি ছিল। ’

নান্নু বলেন, ‘তাই এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এনসিএলের ৮টি দল নিয়েই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে। এখানে ১২৮ থেকে ১৩০ জন ক্রিকেটার সুযোগ পাবে এবং এই সংস্করণে যে ঘাটতিগুলো আছে তা পূরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট উপকৃত হবে। ’

এত দিন জাতীয় লিগ দুই স্তরে হতো। এবারের মৌসুমে সেটি হচ্ছে না, প্রতিটি দলই একে-অপরের বিপক্ষে খেলবে। এছাড়াও দীর্ঘ সংস্করণের আরেক টুর্নামেন্ট বিসিএলের সময়ও বদলে যাচ্ছে। গরমের মধ্যে খেলে অভ্যস্ত করতে এপ্রিল-মে মাসে হবে এই টুর্নামেন্ট।

নান্নু বলেন, ‘এবার বিসিএলটা এপ্রিলের শেষ দিক ও মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে। এটা গরমে খেলার একমাত্র কারণ এখন আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ গরমে খেলতে হয়। সেই কথা চিন্তা করেই যেহেতু এনসিএলটা একটা ভালো সময়ে হয় অক্টোবরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। ’

‘তাই এপ্রিল-মে মাসে একটু গরমের মধ্যে বিসিএলটা হবে। এসব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটকে উপকৃত করবে আমরা সবাই বিশ্বাস করি। আমাদের দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবে। আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যেন বেশিসংখ্যক ম্যাচ খেলতে পারে সেটিও চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। ’