ই-পেপার | শনিবার , ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চানখাঁলী খালের বেড়িবাঁধ পরিদর্শন শেষে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেন এমপি মোতাহের

আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া :

পটিয়ার চানঁখালী খালের জঙ্গল খাইন ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে নির্মিতব্য বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন পটিয়ার এমপি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

সম্প্রতি এ বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হলে ও কৃষকরা ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় গত রবিবার ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানব বন্ধন করে পটিয়ার এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

বিষয়টি অবহিত হয়ে চট্টগ্রাম ১২ আসনের এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট পিডি ও উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী অপু দে কে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বেড়িবাঁধে ছুটে যান তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বক্তব্য মনযোগ সহকারে শুনেন।

 

এতে কৃষকরা বলেন, আমরা প্রা৬০ জন কৃষক ও ব্যাক্তিগত খতিয়ানভূক্ত জমির মালিক। আমাদের জায়গা সরকারী বিধি মোতাবেক অধিগ্রহণ না করে এবং কোন ধরনের ক্ষতি পূরণ না দিয়ে ফসলী জমিতে গর্ত করে আমাদের জমির মাটি তুলে স্কেভেটর দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করার ফলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।

 

তারা তাদের জায়গা বিধি সম্মত ভাবে অধিগ্রহণ পূর্বক পরিমাপ করে অবিলম্ভে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের দাবি জানান।এ সময় ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, এ জমিতে চাষাবাদ করে অর্জিত ফলনের র উপর আমাদের পরিবার চলে। এখন এ জমি বেড়িবাঁধের কারণে খালে চলে গেলে আমাদের সামনে পথে বসে ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকবে না।

 

আমাদেরকে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও জমি মালিকদের পক্ষ থেকে সাবেক চেয়ারম্যান পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মুহাম্মদ ইদ্রিস নীরহ জনগনের সমস্যা সমাধানের জন্য পটিয়ার এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

এ সময় এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কৃষকদের ভয়ের কারণ নেই। শেখ হাসিনার সরকার কৃষি ও কৃষক বান্ধব।এ বেড়িবাঁধ নির্মাণে সরকার বিধি মোতাবেক অধিগ্রহণকৃত জায়গার ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে।পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার যদি কোন জমি থেকে মাটি ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট জমির মালিককে তার মূল্য প্রদান করবে।

 

এ জন্য কৃষকদেরকে একটি কমিটি করে, কার কত অংশ জমি পড়েছে তা সার্ভেয়ার দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্টদের জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করলে কৃষকরা আন্দে উদ্বেলিত হয়ে উল্লাস প্রকাশ করে।তিনি বলেন যার যতটুকু প্রাপ্য তাই পাবেন। এখানে কোন অনিয়মের সুযোগ দেওয়া হবে না।

 

এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটিয়া উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী অপু দে সহ সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা গণ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক গাজী ইদ্রিস চেয়ারম্যান,আওযামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, কৃষকদের মধ্যে মঁনীর আহমদ দুলাল,ফরিদুল আলম আবদুল মোমেন,নুর মোহাম্মদ,মোঃ মেহেরুজ্জমান সত্যেশ নন্দী,অমরেশ নন্দী,সবির নন্দী জনী নন্দী,বিশ্বেশ্বর নন্দী, মেজবাহ উদ্দীন এরশাদ,নুর মোহাম্মদ, সন্জয় নন্দী,নুরুল আলম,জুয়েল নন্দী নন্দন নন্দী,উত্তম নন্দী,প্রমূখ।

 

কৃষকরা এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর তাৎক্ষণিক পরিদর্শন ও আশ্বাসে সন্তোষ প্রকাশ করেন।