ই-পেপার | মঙ্গলবার , ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বগুড়ায় স্বর্ণের দোকান থেকে কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার চুরি

এস.এম.জয়.বগুড়া :

বগুড়ায় একটি জুয়েলার্স থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে কোনো এক সময় শহরের নিউ মার্কেটের ভেতর তৌফিক জুয়েলার্সে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

এদিকে দোকানটিতে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা থাকলেও একটিও চালু ছিল না।

 

তৌফিক জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসনে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ১২০ ভরি গয়না চুরি হয়েছে। চুরি হওয়ার গয়নার মূল্যে টাকার অংকে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার মতো হবে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে আমরা বাড়ি ফিরে যাই। আজ সকালে দোকানের ব্যবস্থাপক জানায় শার্টারের তালা ভাঙা। খবর পেয়ে মালিক সমিতি ও পুলিশের উপস্থিতিতে দোকান খুলে দেখি দুর্বত্তরা সব নিয়ে গেছে।

 

তৌফিক জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম ধলু বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধের পর আজ সকাল পৌনে ১০ টার দিকে দোকান খুলতে এসে দেখি শার্টার কিছুটা উঠানো ও সবগুলো তালা ভাঙা। দোকান মালিককে মুঠোফোনে জানানোর পর তিনি মার্কেটের ব্যবসায়ি মালিক সমিতির সহযোগিতায় পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে দোকান খোলা হলে দেখা যায় সবগুলো গহনা চুরি হয়েছে। সামনে ও পেছনের র‌্যাকে রাখা ট্রেসহ দুর্বৃত্তরা গহনা নিয়ে গেছে। তবে সিন্দুকে তারা হাত দেয়নি। এতে করে নগদ অর্থ ও কিছু গহনা চুরি যায়নি।

 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বগুড়া সদর থানার উল্টো পাশেই মাত্র ১৫০ গজ দূরে সমির উদ্দীন নিউ মার্কেটে তৌফিক জুয়েলার্সের দুইটি দোকান। এরমধ্যে দুই নম্বর দোকানটিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা দোকানের দুইটি শার্টারে লাগানো চারটি তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সামনে সজানো ও পেছেনের র‌্যাকে রাখা সব গহনা তারা লুট করে নিয়ে যায়। চুরি হওয়া দোকানের ভেতরে তিনটি ও বাহিরে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও ঘটনা ঘটার সময় সেগুলো বন্ধ ছিলো। তবে চুরি হওয়া দোকনটির আশপাশের কাপড় ও গহনার দোকানের বাহিরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে।

 

তৌফিক জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসনে আরও বলেন, কারও উপরে সন্দেহ না থাকলেও চুরির ঘটনাটি পরিকল্পিত। তারা ভোল্টের কোন ক্ষতি না করে শুধু বাহিরে রাখা গহনা নিয়ে গেছে। দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও রাতে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় সেটি সচল ছিল না।

 

নিউ মার্কেট ব্যবাসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম সরকার বলেন, মার্কেটের সিকিউরিটি আরও বাড়ানো দরকার। পর্যাপ্ত সিকিউরিটি আমরা দিতে পারি না। দোকান মালিকেরা যদি সিকিউরিটি টাকাটা দিত তাহলে সিকিউরিটি বাড়ানো যেত। আমরা মার্কেটে সকল দোকানদের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথাও বার বার বলেছি। বারবার তাগিদ দিলেও কাজ হয়নি।

 

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় চুরির ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে বলে ধারণা করছি। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে পরিকল্পিতভাবে এখানে চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনও কাউকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধিন।