ই-পেপার | মঙ্গলবার , ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লাখ টাকায় রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ও এনআইডি দেয় চক্রটি, গ্রেপ্তার ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক,চট্টগ্রাম:

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের লোকজনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকদের সংগ্রহ করেন
এক লাখ টাকা দিলেই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্ট পান রোহিঙ্গারা। আর মধ্যপ্রাচ্যে যেতে ভিসা সংগ্রহসহ যাবতীয় কাজের জন্য দিতে হয় তিন থেকে চার লাখ টাকা। পুলিশের হাতে চট্টগ্রামকেন্দ্রিক একটি চক্রের ছয় সদস্য ধরা পড়ার এ তথ্য জানা যায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরের গরীব উল্লাহ শাহ মাজার এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁদের মধ্যে দুজন রোহিঙ্গা নাগরিক। তাঁদের কাছ থেকে বাংলাদেশি পাঁচটি পাসপোর্ট ও একটি জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে।

 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাসিন্দা মো. খসরু পারভেজ (৩৬), লোহাগাড়ার মো. ইসমাইল (২০), বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির মো. তসলিম (২৮) ও পটিয়ার মো. ফারুক (২৭)। ইসমাইল নগরের তামাকুমন্ডি লেনের আল জান্নাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের ও মো. ফারুক জিপিও এলাকার গোল্ড বেঙ্গল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের কর্মী। আর দুই রোহিঙ্গা নাগরিক হলেন কক্সবাজারের উখিয়া–৭ নম্বর ক্যাম্পের মো. জাবের (২৫) এবং কুতুপালং–২ নম্বর ক্যাম্পের রজি আলম (২৭)।

নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ১০ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের জেদ্দা যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে আসাদ উল্লাহ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৯ জানুয়ারি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত একটি হত্যা মামলারও ‘সন্দিগ্ধ’ আসামি তিনি। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে চট্টগ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করেন ওই রোহিঙ্গা যুবক। তাঁর কাছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রও রয়েছে।

 

আসাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ভোরে গরীব উল্লাহ শাহ মাজার এলাকা থেকে দুই রোহিঙ্গাসহ খসরু পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে খসরু পারভেজের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তসলিম, ইসমাইল ও ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) নিহাদ আদনান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের লোকজনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকদের সংগ্রহ করেন। এরপর এক লাখ টাকার বিনিময়ে এনআইডি ও পাসপোর্ট তৈরি করে দেয়। আবার মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে তিন থেকে চার লাখ টাকার বিনিময়ে।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪