মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ,ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসরাত জাহান তনু ইস্যুতে টালমাটাল বিভিন্ন গণমাধ্যম। ঝড় যেন থামছেই না। প্রতিদিনই বেরিয়ে আসছে অজানা কাহিনী। তাকে নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়েছেন।
গত ০৫ এপ্রিল ২৪ইং (শুক্রবার) মুক্তাগাছা উপজেলা বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ সভাপতি ইসরাত জাহান তনু্র সংবাদ সম্মেলন ছিলো তার সকল কুকর্ম ধামাচাপা দিতেই আমার নামে তনুর করা সকল অভিযোগ ও নির্যাতন বিষয় মিথ্যা ও মনগড়া বলে দাবী করেছেন তার স্বামী মো. খায়রুল ইসলাম মনি ।
মো.খায়রুল ইসলাম মনি জানান, তিনি বিয়ে করেন (০১ মার্চ ২০১৯)ইং সালে। তাকে নিয়ে সংসার শুরু করেন ঢাকা উত্তরার ১৩ নাম্বার সেক্টরে । তার অগোচরে সেখানেও তার স্ত্রী যুব মহিলালীগের বহিস্কৃত নেত্রী জান্নাত জানান তনু শুরু করে তার লিলা খেলা । রানা, সবুজ ও জাহাঙ্গীর কতিথ বন্ধু নামক সাহেদের সাথে । তার এসব কাহিনী স্বামীর কাছে ধরা পরে এবং তার অবর্তমানে রাতের আঁধারে তার রসিক নাগর রানা সাহেবকে তার স্বামী সাজিয়ে বাসার মালিককে কল করে মো. খায়রুল ইসলাম মনি”র ভাড়াকৃত বাসার সকল মালামাল নিয়ে তনু মুক্তাগাছা চলে আসে এবং মুক্তাগাছা মো.খায়রুল ইসলাম মনি’র ভাড়ায় থাকা বাসার মালিক নারায়ণ কাকার নিকট আগের স্বামী মেহেদীকে উপস্থাপন করে বাসা ভাড়া নেন, পরবর্তীতে আবার মো.খায়রুল ইসলাম মনি”র সাথে যোগাযোগ করে ক্ষমা চায়। মাফ করে দিয়ে তাদের সকল খরচ বহন করে সুখ ও শান্তির আশায় আবার সংসার জীবন শুরু করেন মো.খায়রুল ইসলাম মনি । তার সকল কুকর্মের কাহিনীর প্রমাণ মো.খায়রুল ইসলাম মনি’র কাছে আছে বলে জানান ।
মো.খায়রুল ইসলাম মনি আরো জানান, ২১ আগষ্ট ২১ ইং দিবাগত রাতে মুক্তাগাছা নারায়ণ কাকার বাসার ২য় তলায় আপত্তিকর অবস্থায় আগের তালাক দেওয়া স্বামী মেহেদি ও তনুসহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্বশরীরে। তাদের আটক করেন , মান সম্মানের কারনে বাসার মালিক নারায়ণ কাকা ও এস আই শরিফুল ইসলাম সহ অন্যান লোকজন এসে মেহেদিকে বাসা থেকে রের করে দেয় এবং তনু ও তার মা ক্ষমা চায় । তাদের সকলের কথায় তনুকে ক্ষমা করে দিয়ে সংসার আবার শুরু করেন
মুক্তাগাছায় নারায়ণ এর বাসায় তনু থাকা অবস্থায় তার দূর সম্পর্কের কাকা মতি ডাক্তার বাবুলের হাতে তুলে দেন তাকে রাজনীতি শেখাতে।এরপর শুরু হয় লিলা খেলা বাবুল নামের ৬০ বছরের পুরুষের সাথে এবং রসিক বাবুল সাহেবের সহায়তায় ও প্ররোচনায় মো. খায়রুল ইসলাম মনিকে তালাক প্রদান করে এবং ঐ দিনেই আদালতে দেনমোহরের মামলা দায়ের করে, তারিখ ১৮ জুলাই ২০২২ইং। এ নিয়ে মুক্তাগাছার মেয়র সাহেবের বাসায় বসা হয়,কয়েকবার সেখানে তনু ও তার মা ভুল স্বিকার করে মাফ চায় এবং মেয়র কাকার নির্দেশনায় তনু তালাক প্রতাহার করে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে দিবাগত রাতে এবং পরদিন মুক্তাগাছার মেয়র সহ সকলের সমানে আমন্ত্রিত অতিথি আহ্বায়ক বিলকিস খানম ও সিনিয়র যুগ আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকার, ইসরাত জাহান (তনু)কে সভাপতি ও তার ভাগিনী সোমা খাতুনকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হোন।
এদিকে প্রথমে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ইসরাত জাহান তনু জানান, কী অপরাধে আমাকে বহিষ্কার করল তা আমি জানি না। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার ব্যক্তিগত লাইফটাকে হেয় প্রতি পুণ্য করার জন্যে এই ষড়যন্ত্র মূলক চক্রান্ত করিতেছে। তবে ভুক্তভোগী নারীর দাবি, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার প্রতিপক্ষ গ্রুপ ও সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনির তথাকথিত কিছু ফেসবুক সাংবাদিক দিয়ে আপত্তির ফেক ছবি ও ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে সম্মানহানি করার পাশাপাশি তাকে নির্বাচন থেকে সরানোর পাঁয়তারা করছে। এর প্রতিকার পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ভিডিও গুলোর কারণে এরই মধ্যে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান তনুকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত (০১ এপ্রিল) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যলয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে ওই যুব মহিলা লীগ নেত্রীর দাবি, তার সাবেক স্বামী খাইরুলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় সে কিছু সাংবাদিক ও লোকজন দিয়ে তাকে হয়রানি এবং ব্লাকমেইল করছেন। এবার ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নভাবে অর্থ দাবি করে ব্লাকমেইল করা হচ্ছে। তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নেত্রীর কিছু ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেওয়া হয়। বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে তনু বলেন, আমার বহিষ্কার হওয়ার পেছনে এবং নির্বাচনের প্রার্থিতা থেকে সরাতে আমার সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলম মনিরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে প্রতিপক্ষরা। ২০২২ সালের একটি ভিডিওতে কিছু ছবি এডিট করে আমার নামে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।যা সম্পূর্ণ ফেক ও ভিত্তিহীন।