ই-পেপার | শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পুলিশের ওপর চড়াও হয় গণতন্ত্র মঞ্চ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির উদ্দেশ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ পুলিশের ওপর চড়াও হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, দেশে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টসহ পৃথিবীর ৭৮ দেশের সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসিসহ পৃথিবীর ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানানো দেখে গণতন্ত্র মঞ্চ প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বুধবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়।

 

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’র নতুন নির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

ড. হাছান বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চকে যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তারা তার বাইরে গিয়ে বেআইনিভাবে ব্যারিকেড অতিক্রম করছিলো। এ সময় পুলিশ তাদের বারণ করে। তারা সেটি না মেনে পুলিশের একজন সদস্যকে ধরে ফেলে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়।

 

‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে হাছান বলেন, বরং দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন তাদের নেতা-কর্মীরা ছাড়া পাচ্ছে।

 

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকার নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ড. হাছান বলেন, ১১২ বছরের পুরনো ‘চট্টগ্রাম সমিতি, ঢাকা’ চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য ঢাকায় এজেন্ট এবং প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে। এতো দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতিমুক্ত এই সংগঠন চট্টগ্রামবাসীর মিলনমেলা এবং সব উন্নয়নমূলক সংগঠনের জন্য এক উদাহরণ।

 

দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণকে জরুরি জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের উন্নয়নে বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে ৮৫ লাখ মানুষ বসবাস করে। গত ১৫ বছরে চট্টগ্রাম বদলে গেছে। বহু বছর ধরে বলা হচ্ছিল বঙ্গবন্ধু টানেলের কথা। এটি যে বাস্তবায়ন হবে অনেকেই ভাবেনি। কিন্তু আজ সেটি দৃশ্যমান বাস্তবতা।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় চট্টগ্রামের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে হাছান বলেন, এতো সুন্দর মেরিন ড্রাইভ হবে আমরা ভাবিনি। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল হবে যা দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নেই- এটিও আমরা কেউ ভাবিনি। মঙ্গলবার ২৪ জন বিদেশি মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনীতিক চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে এগুলো দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

 

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা চট্টগ্রামে মেট্টোরেল করবো। এখন সমীক্ষা চলছে। মূল শহরে এটি পাতালে হবে। শহরের বাইরে সেটি এলিভেটেড এক্সপ্রেস আকারে হবে। চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শিল্প এলাকা হবে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প এলাকা। এখানে ১৫ লাখ মানুষ কাজ করবে, আরো ২০ লাখ মানুষ জড়িত থাকবে। অচিরেই চট্টগ্রামে একটি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল চালু হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম শাখা ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার হচ্ছে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তিনি আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন বলে আমি কাছ থেকে বিষয়টি দেখভাল করতে পেরেছিলাম।