নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেনী: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেনীতে নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ল্যাপটপ বিতরণ করেছেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের পিটিআই মাঠে জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর এ আয়োজন করে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ফেনী ছাড়াও চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার মোট ৭৪৫ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীকে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ফেনীর ২৪০ জন ছাড়াও লক্ষ্মীপুরে ২৬৫ ও চাঁদপুরে ২৪০ জন নারী রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, পুলিশ সুপার জাকির হাসান ও ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার।
আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোস্তফা কামাল।
এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফেনীর চৈতি সাহা, লক্ষ্মীপুর জেলার ইসরাত জাহান তানজিনা ও চাঁদপুর জেলার সাবিহা জামান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বজয়ের হাতিয়ার একটি স্মার্ট ল্যাপটপ। প্রতিবছর ২০-২৫ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন। সবাইকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। সবাই ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে চলে যেতে পারবে না। তাহলে নিজের গ্রামে বসে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তরুণ-তরুণীদের ওপর নির্ভর করছে স্মার্ট বাংলাদেশ।
পলক আরও বলেন, দেশে যৌতুকপ্রথা ব্যাধি হয়ে উঠেছিল। ৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে নারী শিক্ষার প্রসার, যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখে। এক সময় প্রাইমারি স্কুলে অনেক বেশিপুরুষ শিক্ষক ছিলেন। এখন ৬০ শতাংশ নারী। প্রধানমন্ত্রীর অসংখ্য সিদ্ধান্তে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন অনেকে হাস্যরস করেছেন। ১৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি ২০৪১ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করেছেন। আজ একটি ল্যাপটপ একজন তরুণীকে মাথা উঁচু করে থাকার প্রেরণা দেবে।
সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও পিছিয়ে নেই। আজ যারা ল্যাপটপ পাচ্ছেন তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
এরপর প্রতিমন্ত্রী পলক পরশুরাম উপজেলার আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিম কলেজ সংলগ্ন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করবেন।
দাগনভূঞা উপজেলা কো-অর্ডিনেটর আল ইমরান জানান, উইমেন আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার কোর্সে ছয় মাসব্যাপী ৮০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা প্রশিক্ষণ শেষে অনলাইন ও অফলাইনে কাজ করার সুযোগ পাবেন।