নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল :
ভোটের দিন বরিশাল নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা থাকবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ব্রিফিং প্যারেডে তিনি এ কথা জানান।
শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী মালামাল যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। আগামী শনিবার (৬ জানুয়ারি) কেন্দ্রভিত্তিক বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া দুর্গম কেন্দ্র ব্যতীত সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পৌঁছে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, জেলায় নির্বাচনী নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। বরিশাল জেলায় ১৭ প্লাটুন বিজিবি এবং ৯ প্লাটুন সেনাবাহিনীর সদস্য ও সদরে একটি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ৪৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলাভিত্তিক নিয়োজিত করা হয়েছে। নদী বেষ্টিত মেহেন্দিগঞ্জে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ কাজ করবে। এক কথায় গোটা জেলা নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা থাকবে। যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারে।
এদিকে আনসার ও ভিডিপির বরিশাল জেলা কার্যালয়ের কমান্ড্যান্ট এস এম মুজিবুল হক বলেন, বরিশাল জেলায় আমাদের ৯ হাজার ৯২৪ জন আনসার ভিডিপি সদস্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করবে। এর বাইরে প্রতিটি উপজেলায় ১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় ১ প্লাটুনের পাশাপাশি জেলার জন্য অতিরিক্ত ১ প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া বিভাগের জন্য আনসার-ভিডিপির রিজার্ভ ১ প্লাটুন ফোর্স প্রস্তুত থাকবে, যাতে যেকোনো স্থানে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক সেখানে তারা যেতে পারে।
তিনি বলেন, সব মিলিয়ে গোটা বিভাগে ৩৫ হাজারের মতো আনসার ও ভিডিপির সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে।
অপরদিকে জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, সদর ব্যতীত জেলার ৫টি আসনে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য তাদের দায়িত্ব পালন করবে। প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার মিলিয়ে ১৬ জন করে নির্ধারিত সদস্য এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ২০ জন করে নির্ধারিত সদস্য থাকবে। এ ছাড়া ১০টি সেন্টারের জন্য দুটি মোবাইল টিম ও দুটি স্ট্রাইকিং টিম থাকবে। ওভারঅল বিজিবি-সেনাবাহিনীর স্ট্রাইকিং এবং আনসারের ডেপ্লয়মেন্ট থাকবে।
আর বিভাগজুড়ে পুলিশের ১২ হাজারের ওপর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বরিশালে রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ফারুক উল হক।
তিনি বলেন, পুলিশ, আনসার, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ভোলা ও বরগুনাতে নৌবাহিনীর সদস্যরা বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।