মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি,
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার অভ্যন্তরে গোলাগুলির বিকট শব্দের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে কয়দিন ধরে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে সীমান্ত ৩৪ পিলারের রাইট মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিজিপি ক্যাম্প থেকে ৪ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায় বলে জানান স্থানীয়রা। এতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্তক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ বিজিবি।
এদিকে গত রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) তুমব্রু সীমান্তের ৩৫ ও ৩৬ পিলার মিয়ানমার অভ্যন্তরে কক্য ডিংগা এলাকায় জান্তা বাহিনী ও মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের সাথে ৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোররাতে তুমব্রু মধ্যমপাড়ার মূত মীর আহমদ মাস্টারের ছেলে জয়নাল আবেদীনের বাড়ির রান্নাঘরের চালে একটি গুলি পড়ে। এর আগে রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রথম গুলিটি এসে পড়ে তুমব্রু বাজারে নুর মেহের ডিপার্টমেন্ট স্টোরের টিনের উপর। উভয় ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তুমব্রু গ্রামের সাধারণ মানুষ মিয়ানমারে ওপারের হালকা ও ভারী অস্ত্রের আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন। এতে অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সীমান্ত জনপদের মানুষ।
৩৪ বিজিবি অধিনায়ক কর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীন বিষয়, আতংক বা ভয়ের কোন কারণ নেই। সীমান্তে টহল জোরদারসহ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।