ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মানবাধিকার দিবসের সচেতনতা সভা

কক্সবাজার অফিস :

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাইন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের হলরুমে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত এই সভায় কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক প্রতিনিধি, সাংবাদিক, প্রকল্পের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সদস্য, এনজিও প্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম তৌহিদুল মাশেক। অতিথি হিসেবে উপস্তিতি ছিলেন তরুণ রাজনীতিক তারেক মাহমুদ রনি। সভা সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন স্পোর্টস কো-অর্ডিনেটর। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানবাধিকার বিষয়ে বক্তৃতা প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়।

এতে উন্মুক্ত আলোচনায় কাঞ্জরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের কার্যক্রমের ফলে অন্যের ক্ষতি হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে।

চিকিৎসক আবু বকর আল মামুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ভাগ্যবান এই জন্য যে, কলেজ পর্যায়ে মানবাধিকার সম্পর্কে জানতে পারছেন, যা আমরা জেনেছি ভার্সিটি জীবনে। এমন আয়োজনের জন্য কোস্ট ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

কক্সবাজার নিউজের সিনিয়র সাংবাদিক ইমাম খাইর বলেন, আমাদেরকে বাক্সের বাহিরে চিন্তা করতে হবে, নিজের পাশাপাশি অন্যের অবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে, তাহলেই পৃথিবীর সর্বত্র মানবাধিকারের জয়গান শুনতে পারবো।

টেকনাফ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল হোসাইন বলেন, এই বয়স থেকে যদি ছাত্রদের মধ্যে মানবাধিকারের বীজ বপন করতে পারি তাহলে সমাজের সকল অনৈতিক কর্মকান্ডের অবসান হবে। তিনি সন্তানদের তাদের মা-বাবার প্রতি আরো যত্নবান হওয়ার অনুরোধ করেন।

যুব সংগঠক তারেক মাহমুদ রনি বলেন, মানবাধিকারের জন্য আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম, যার ফল আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, আপনারা এখনো ছাত্র, আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ব। আপনারাই পারেন আগামীর প্রজন্মকে সুন্দর এবং মানবাধিকারবান্ধব একটি পৃথিবী উপহার দিতে।

অধ্যক্ষ আ ন ম তৌহিদুল মাশেক বলেন, যেখানে অধিকার আছে সেখানেই দায়িত্ব আছে। নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অন্যের অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে। অন্যথায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না।