ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো সাংবাদিক!

নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী :

ওরা দু’জন একাধারে ম্যজিস্ট্রেট, ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা আবার সাংবাদিকও। তাদের আছে একাধিক পরিচয়পত্র। সবগুলো পরিচয়ই তাদের ভুয়া। ব্যবসায়ীরা ধরে পুলিশে দিলে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। ভুয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার পরিচয়পত্রসহ ৪টি পরিচয়পত্র পাওয়া যায় তাদের কাছে।

 

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে কথিত ওই দুই সাংবাদিককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

 

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদেরকে সোপর্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।

এর আগে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাগাজী ফরদার বাড়ির মফিজ উল্লাহর ছেলে গোলাম মোস্তফা বুলবুল (৪৪) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার সুলতানের বাড়ির মো. শাহজাহানের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম সোহাগ (৩৮)।

 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বলেন, গ্রেপ্তার আসামি বুলবুল নিজেকে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির নোয়াখালী প্রতিনিধি ও সোহাগ নিজেকে দৈনিক বিজয় বাংলাদেশের নোয়াখালী প্রতিনিধি পরিচয় দেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে বুলবুল ও রিয়াজুল কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে যান। একপর্যায়ে ওই বাজারের সারের ডিলার শহীদের দোকানে গিয়ে তারা নিজেদের ম্যাজিস্ট্রেট ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সারের দাম জানতে চায়।

 

এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে গণপিটুনি দিয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পুলিশকে তারা নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে কয়েকটি পরিচয়পত্র দেখান।

 

স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরও বলেন, এই চক্র গত কয়েক মাসে উপজেলার ১৫-২০ জন ব্যবসায়ীর কাছে নিজেদের সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করেছে।

 

নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জু বলেন, বিষয়টি জেনেছি। প্রেসক্লাবের কোনো সদস্য বা এর বাইরেও কোনো সাংবাদিক যদি সাধারণ জনগণকে হয়রানি ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা নেওয়া হয়েছে।’

 

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪