
আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া, :
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এনসিডি কর্নারের কার্যক্রম তুলে ধরা ও সকল প্রাপ্ত বয়সীদের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে রক্তচাপ পরিমাপ করা, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বিনামূল্যে এনসিডি কর্নার থেকে ওষুধ সরবরাহসহ কমিউনিটি পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিএইচসিপি ও কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় ও বেলা ১২ টায় দুই ব্যাচে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নন- কমিনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এনসিডিসি ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ সব্যসাচী নাথ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার ডাঃ শাহিনুল ইসলাম, সাভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার ডা: উদিত প্রয়াস শিকদার, ফিল্ড মনিটরিং এসিস্ট্যান্ট মোঃ আতাউর রহমান, প্রোগ্রাম লজিস্টিক এসিস্ট্যান্ট মোঃ রাফিউল ইসলাম রনি প্রমূখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সরকারের এই কার্যক্রমকে সাধারণ মানুষর কাছে পৌঁছে দিতে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী, মসজিদের ইমামসহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতা ও স্কুল কলেজের শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। এই প্রশিক্ষণে উপজেলার সকল সিএইচসিপি ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশের শতকরা ৬৭ ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ। এর মধ্যে হৃদরোগ, স্ট্রোক সহ সিভিডি জনিত মৃত্যু হার শতকরা ৩০ ভাগ। শতকরা ২২ ভাগ অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী এই অসংক্রামক রোগ। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের কারনে এই মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। সরকার এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য উপজেলা হাসপাতালে এনসিডি কর্নার চালু করেছে।
সেখান থেকে রেজিষ্ট্রেশনকৃত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে। প্রাপ্ত বয়সী সকলকে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস সনাক্ত করে এনসিডি কর্নার থেকে সেবা গ্রহনের জন্য করণীয় বিষয় সমূহের উপর এতে বিষদ আলোচনা করা হয়। এতে বক্তারা স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে সকলকে একযোগে কাজ করারও আহবান জানান।