শেখ আলাউদ্দিন, চট্টগ্রাম
সোমবার (৭ আগস্ট) বেলা ১২টায় এই প্রতিবেদনটি যখন তৈরি করছি তখনও চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আরও দুদিন এই রকম আবহাওয়া চলমান থাকতে পারে।
এই পরিস্হিতিতে নগরীর বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, চকবাজার, কাতালগন্জ, মুরাদপুর, বাকলিয়াসহ বেশীর এলাকায় এক হাঁটুর বেশি পানি। এছাড়া নীচু এলাকায় ঘরের ভেতরও পানি ঢুকে পড়েছে। এমতাবস্থায় বাসা-বাড়ীতে রান্নাবান্নায় সমস্যা হচ্ছে। অনেকে হোটেল থেকে কোন রকম খাবার কিনে খাচ্ছে। এই অবস্হা বিরাজমান থাকলে লোকজন ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বাসা-বাড়ীর নলকূপগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা দিতে পারে। এই অবস্হায় শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে- এমনটাই দাবি নগরবাসীর।
এছাড়া অনেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খিচুড়ি রান্না করে তা বিতরণ করতে দেখা গেছে। জামাল খান ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নেতৃত্বে, এবং বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার পক্ষ থেকে বেশ কিছু এলাকায় খাবার দেওয়া হয়ছে। তবে এসব প্রয়োজনের তুলনায় কম। তৃতীয় দিনের মতো আজ সকালের দিকেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম তার বাড়ির ভেতরে পানবন্দী অবস্হায় ছিলেন।