ই-পেপার | শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পেকুয়ায় ফসলি জমির সাথে সড়ক একাকার: সাত গ্রামের লোকজনের যাতায়াতে ভোগান্তি

পেকুয়া প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজারের পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের জিন্নাত আলী চৌধুরী সড়কটিতে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে কোন প্রকার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দেখেনি আলোর মুখ। নুইন্যা-মুইন্যা ব্রিজ থেকে সিরাদিয়া ফটোবাপের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটারের জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দেড় যুগ ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে। সড়ক জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে শত শত খানাখন্দক। দুই বছর ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাত গ্রামের বসবাসরত প্রায় ১০ হাজার লোকজনকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে অসংখ্য ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যেনো একেকটি ছোট বড় জলাশয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাশয়ে পরিণত হয়।

২০ থেকে ৩০ মিটার পরপর সড়কের ইটগুলো সরে গিয়ে পাশের ফসলী জমির সাথে সড়কটি একাকার হয়ে যায়। দক্ষিণ মেহেরনামা নাগুর দোকান থেকে সিরাদিয়া স্লুইচ গেইট পর্যন্ত প্রায় ১৬ চেইন সড়কের ইট একেবারে খোয়া হয়ে গেছে। দুই বছর আগে এ স্থানে ইট উঠে গিয়ে কাঁচা মাটির সড়কে পরিনত হয়ে গেছে। যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা দুই চাকার যানবাহন চলাচলেও অনুপযোগী সড়কটিতে। হেঁটেই হেটে এ সড়ক পাড়ি দিতে হয় স্থানীয়দের।

স্থানীয় বাসিন্দা সালাহউদ্দিন, নেজামউদ্দিন, সেলিম উদ্দিন বলেন, প্রায় শত বছরের পুরানো এই জিন্নাত আলী চৌধুরী সড়ক। এক সময় এ সড়ক দিয়ে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, বদরখালী ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। কালেরবিভন্তে সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে এ সড়কটি।

বর্তমানে দক্ষিণ মেহেরনামা,পশ্চিম মেহেরনামা,গোলপাড়া, সিরাদিয়া,বিলহাসুরা, নতুনপাড়াসহ প্রায় সাত গ্রামের ১০ হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে। দুইটি কলেজসহ ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতশত শিক্ষার্থীদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এ সড়কটি।

স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা কালু মাঝি বলেন, ২০ বছর আগে এ রাস্তায় ইট বসানো হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। গাড়ি চলাচলও এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষায় সড়কের বেশিরভাগ অংশ পানিতে ডুবে থাকে। এখন এ পথ দিয়ে হেঁটে চলতেও অনেক বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

শিক্ষার্থী মোকাদ্দেস ও তামজিদ বলেন, প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদ্যালয়ে যেতে আমাদের কষ্টের সীমা নেই। বর্ষায় বই খাতা ভিজে অনেকবার নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা সড়কের দ্রুত সংস্কার চাই।

সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ বলেন, এ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বড় রাস্তা। প্রায় আড়াই কিলোমিটার। আসলে এত বড় রাস্তা করা পরিষদের সক্ষমতা নেই। তবে রাস্তাটি সংস্কারের আওতায় আনা দরকার।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন,আসলে দীর্ঘদিন জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কার না হওয়াটা দুঃখজনক। খোঁজ খবর নিয়ে সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

এইচ এম কাদের, সিএনএন বাংলা ২৪