ই-পেপার | মঙ্গলবার , ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বউ রেখে কুকর্ম, প্রধান শিক্ষককে গাছে বেধে গণধোলাই

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সুন্দরগঞ্জে ঘরে বউ রেখে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা ও কুকর্ম করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন গোলাম রব্বানী বকুল (৫০) নামের এক প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনার ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গণধোলাইয়ের শিকার গোলাম রব্বানী বকুল ওই ইউনিয়নের আরাজি দহবন্দ গ্রামের নিয়ামতুল্লাহ সরকারের ছেলে এবং বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক চলছিল গোলাম রব্বানী বকুলের। ফলে প্রায় রাতে তিনি ওই নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতেও ওই নারীর কাছে যান। একপর্যায়ে তাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওই নারীর ছেলে গোলাম রব্বানীকে আটক করে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা এসে তাকে বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।

 

পরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ছোটভাই, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল বলেন, নির্বাচন করছি বলে এসব ষড়যন্ত্র। তবে ওই নারী ও তার বাবার কোনো অভিযোগ নেই।

 

এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবু বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা গোলাম রব্বানী বকুলকে সুপারি গাছে বেঁধে রেখেছেন। পরে তার ছোট ভাই গোলাম কবির মুকুল ও ভাতিজারা এসে নিয়ে যায়। এর আগেও কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল।

 

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে এখনো আমাদেরকে বিষয়টি জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার সময় গোলাম রব্বানী বকুলকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছে বলে শুনেছি। সকালে মেয়ের আপনজন আমার কাছে এসেছিল। তাদেরকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি।

 

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। এমন কিছু পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।