ই-পেপার | শনিবার , ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাইক্ষ্যংছড়িতে স্বামীর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর হাসপাতালে মৃত্যু

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম দোছড়ি ইউনিয়নের ছাগলখাইয়া গ্রামে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনে দুই সন্তানের জননী রাজিয়া সুলতানার মৃত্যু হয়েছে- এমনই অভিযোগ রাজিয়ার পরিবারের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দোছড়ি ইউনিয়নের ছাগলখাইয়া গ্রামের মোঃ হাশেমের পুত্র তানজিমুল ইসলামের সাথে তিন বছর পূর্বে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক সামাজিকভাবে বিয়ে হয় রাজিয়া সুলতানার। তার পিতার বাড়ি রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শুকমনিয়া গ্রামে।

 

রাজিয়ার পিতা আবুল হোছন এ প্রতিবেদকে জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায় সময়ে নির্যাতন করতো রাজিয়াকে। স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে অনেকবার।

সর্বশেষ, গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রথমে স্বামী তানজিম লোহার রড দিয়ে বেদম প্রহার শুরু করেন রাজিয়ার উপর। স্বামী তানজিমের সাথে শ্বশুর হাসেমসহ শ্বশুর বাড়ির অন্যরাও হামলা ও মারধর করে রাজিয়াকে। এলোপাতাড়ি মারধরে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন গৃহবধূ রাজিয়া।

 

শাশুড়বাড়ির লোকজন এ ঘটনাকে গোপন রেখে ম্যলেরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে, ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান তাকে। সেখানে শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৮ টায় গৃহবধূ রাজিয়া সুলতানা মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা তার স্বামী তানজিদুল ইসলাম ও শ্বশুর হাসেমসহ ৬ জনকে দায়ী করছে।

 

এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর লাশের ময়নাতদন্ত কক্সবাজার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্পন্ন করার পর লাশ দাফন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান নিহত রাজিয়ার মেজ মামা আকবর আলী।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪