ই-পেপার | শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না থেকেও মহাসমাবেশে ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে নেতাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবির সঙ্গে দলের বিভিন্ন নেতার ছবি সম্বলিত পোস্টার ও ফেস্টুন দেখা গেছে।

তবে সমাবেশে না থাকলেও উপস্থিতি ছিল ভারতে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের। বিএনপির মহাসমাবেশে তাকে সশরীরে দেখা না গেলেও ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুনে স্মরণে রেখে মহাসমাবেশে তার উপস্থিতি জানান দিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

 

বিএনপির মহাসমাবেশে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে আসা যুবদলের থানা সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, দলের আস্থাভাজন ও এলাকায় বহুল জনপ্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। আজ তিনি দেশে থাকলে অবশ্যই মহাসমাবেশের মঞ্চে দেখতে পেতাম, তিনিও আজ দিতেন গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য। তিনি হয়ত এই মুহূর্তে নেই, অচিরেই ফিরবেন দেশে। তবে আমরা তাকে ভুলিনি। দলও তাকে ভোলেনি। নিরপরাধ হয়েও তিনি ভারতের জেলে ছিলেন। জেলে থাকা অবস্থায় তিনি দলের স্থায়ী কমিটির পদ পেয়েছেন। তাকে আমরা স্মরণে রেখেই মহাসমাবেশে এসেছি।

 

চকরিয়া থানা বিএনপির অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব বলেন, আমরা চাই তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। দলে তার মতো কর্মীবান্ধব সজ্জন নেতা বড় দরকার।

উল্লেখ্য, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বিএনপির মুখপাত্র। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় মেঘালয়ের শিলং জজ কোর্ট থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি খালাস পান।

ভারতে আটকের আট বছর পর দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাসও পেয়েছেন বিএনপির এ নেতা। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে অবস্থানরত সালাহউদ্দিন গত ১২ জুন ট্রাভেল পাস পান। গত ৮ জুন জারি করা এ ট্রাভেল পাসে তাকে তিন মাসের মধ্যে দেশে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

যদিও তিনি এখনো দেশে ফেরেননি। গণমাধ্যমকে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ট্রাভেল পারমিট পেয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসা শেষে তিনি দেশে ফিরবেন।

১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন সালাহউদ্দিন। পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মেঘালয়ে গ্রেপ্তারের সময় তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদে ছিলেন। ভারতের কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪