গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলমের নাম ব্যবহার করে অপ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। মুলতঃ রামু ফতেখাঁরকুল পশ্চিম মেরংলোয়া গ্রামের অনিমুল কবির উদয়,তার পিতা মাহবুবুল আলম, হত্যা মামলার দাগী আসামী শামীম আরা বেগম প্রকাশ খুকির নেতৃত্বে ৮/৯ জন সন্ত্রাসী গ্রুপ ২১ শে জানুয়ারী২৫ ইংরেজি সকাল বেলা রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলমের মার্কেটে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে দোকান ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় অন্যান্য দোকানের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে চাঁদাদাবী করে অনিমুল কবির উদয়সহ ৮/৯ সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ।
সন্ত্রাসী গ্রুপের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়াই পরবর্তীতে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। যাহা সিসি ক্যামরা ভিডিও ফুটেছে সংরক্ষিত আছে। এরপর রিয়াজ উল আলমের মালিকানাধীন পুকুরে মাছ ধরা অবস্থায় সেইখানে গিয়ে পানির পাম্প মেশিন ভাঙচুর করে আমার উপর অতর্কিত ভাবে সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার দাগী আসামি শামীম আরা বেগমের চাকু হাতে ও তার স্বামী মাহবুবুল আলম, ছেলে অনিমুল কবির উদয়, রুমানা খসবু এবং বাঁশখালীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ডাকাতসহ মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার উপর হামলা করে। আমার শোর- চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়েএসে আমাকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করেন।
উল্লেখ্য যে, আমার ৩০ বছর আগে ক্রয়কৃত জমি সরকার পরির্তনের সুযোগ নিয়ে রামু উপজেলার সাবেক কৃষকলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং বিগত ১৬ বছরে বিভিন্ন সময়ে অনেক জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে (সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক,সাবেক মেম্বার শফিউল আলম, সাবেক মেম্বার কামাল উদ্দিন, এলাকার সর্দার দিদারুল আলম, মরহুম শাহাবুদ্দিন, সাবেক ছাত্র নেতা মাসুদুর রহমান, সমাজ সেবক ফরিদুল আলম, জসিম উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিনসহ শতাধিক গন্যমান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার বাদী ছিলেন মাহবুবুল আলম)। দীর্ঘদিন যাবত মিথ্যা মামলা করাছিল তাহার পেশা। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে যে মরহুম শাহবুউদ্দিনকে মিথ্যা মামলায় ফাসিঁয়ে পুলিশ রিমান্ডের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
আরও উল্লেখ থাকে যে তার স্ত্রী শামীম আরা বেগম খুকি নিজের আপন বড় ভাই সরওয়ার কামাল প্রকাশ সরওয়ার কোম্পানি কক্সবাজার, পিতা আব্দুল মান্নান কে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছরে আমার ও আমার দুই বোনের সম্পদ জবরদখল করার জন্য আমাদের নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন থানা ও আদালতে।
আমার ও বোনদের ৫০ খানি জমি জবরদখল করে বিভিন্ন জনকে বিক্রি করেছেন মাহবুবুল আলমও সন্ত্রাসী স্ত্রী। এমনকি আমার পুরাতন বাড়িতে শামীম আরা বেগম বাড়ীতে সুপারীবাগানের সুপারী, নারিকেল, পুকুরের মাছ প্রতিনিয়ত লুট করে নিয়ে যায়। আমি আমার বাপের বসত ভিটায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লোকজন নিয়োগ করলে তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘদিন যাবত আমি এবং আমার পরিবারের মান সম্মানের ভয়ে জনসম্মুখে কোনদিনও আমি কখনো উল্লিখিত ঘটনাগুলো প্রকাশ করি নাই।
আমার বিরুদ্ধে প্রায় ১০টি মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করায় আমি নিরূপায় হয়ে আমার এলাকাবাসীকে সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে বাধা হলাম। সুতরাং বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদে সম্মানিত রামুবাসী ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
রিয়াজ উল আলম
সাবেক চেয়ারম্যান
রামু উপজেলা পরিষদ।