মোঃ আলমগীর আকাশ,টেকনাফ প্রতনিধি:
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ চক্রের বাহিনী প্রধান মোর্শেদ আলমকে অবশেষে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে দুইটি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও গুলি।
সোমবার (২০ মে) ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া ইউপির শীলখালী পাহাড়ী এলাকার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই দস্তগীর হোসাইন। মোর্শেদ আলম (২৩) টেকনাফের বাহারছড়া এলাকার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, অপহরণ সহ ৮ টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই দস্তগীর হোসাইন।
তিনি জানান, গত ২১ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন থেকে ১৫ জনকে অপহরণ করা হয়। পুলিশের অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধারের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ২ জনকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে। এবার পরপরই তথ্য পাওয়া যায় টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণকারি চক্রের ১৫ জনের একটি বাহিনী রয়েছে। আর সেই বাহিনীর প্রধান মোর্শেদ। এরপর থেকে মোর্শেদকে গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে। এর জের ধরেই পুলিশ মোর্শেদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি জানিয়েছেন, বাহারছড়া এলাকার সন্ত্রাসী মোর্শেদ। যার কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি বাহিনী রয়েছে। যারা পাহাড়ের গহীনে নানা স্থানে আস্তানা তৈরি করে অপহরণ সহ নানা অপরাধ করে আসছিল। মোর্শেদকে সংশ্লিষ্ট মামলায় রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
ওসি জানান, মোর্শেদ গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ শূণ্যের কোঠায় চলে আসবে বলে আশাবাদী।
পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ২ মে পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২৪ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬৬ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের পরিবারের তথ্য মতে অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।
