ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইয়াবাসম্রাট আব্দুল আমিন ৭ লাখ ইয়াবাভর্তি পাজেরোসহ গ্রেপ্তার

কক্সবাজার অফিস :

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে বিলাসবহুল একটি পাজেরোতে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে। রোবববার (১৯ মে) রাত ২ টার দিকে এই অভিযান চালানো হয়।

 

সোমবার বেলা ১২ টায় অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন র‌্যাব—১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ,এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, মেরিন ড্রাইভ রোড হয়ে চিহ্নিত মাদক কারবারি আব্দুল আমিন তার মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যসহ মাদকের একটি বিশাল চালান নিয়ে একটি বিলাস বহুল প্রাইভেটকারযোগে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার শহরের দিকে আসছে।

 

এই তথ্যের ভিত্তিতে রাত ২ টার দিকে র‌্যাব—১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পাটুয়ারটেক চেংছড়ি মেরিন ড্রাইভ রোডে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে মাদক উদ্ধারের একটি বিশেষ তল্লাশী অভিযান শুরু করে।

 

তল্লাশি চলাকালীন সময়ে টেকনাফ থেকে আসা কক্সবাজারগামী কালো রংয়ের একটি বিলাসবহুল পাজেরো থামার সংকেত দিলে তা অমান্য করে দ্রুত গতিতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে র‌্যাবের আভিযানিক দল গাড়িটি থামাতে সক্ষম হয়।

 

পরে পাজেরো গাড়ির পেছনে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত অবস্থা থেকে ৭ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ইয়াবা সম্রাট আব্দুল আমিনসহ মাদক সিন্ডিকেটের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— টেকনাফ ডেইল পাড়ার হাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবদুল আমিন (৪০), টেকনাফ গোদার বিল এলাকার আবু সৈয়দের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩৫), একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ হাশেমের ছেলে নুরুল আবছার (২৮) ও ডেইল পাড়ার মৃত দীল মোহাম্মদের ছেলে জাফর আলম (২৬)।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আব্দুল আমিন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, ইয়াবা সম্রাট ও মাদক সিন্ডিকেটটির অন্যতম সদস্য। সে প্রথমে মুদির ব্যবসা এবং বিভিন্ন গরুর হাটের ইজারাদারি করতো। পরবর্তীতে সে পলিথিন ও কার্পেট ব্যবসায়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়।

 

এসব ব্যবসার আড়ালে ইয়াবার ব্যবসায়ের সাথে জড়িয়ে পড়ে। বার্মাইয়া সিরাজের ইয়াবার বিশাল সব চালান সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারযোগে আব্দুল আমিনের নিকট পৌঁছাতো। এ সকল ইয়াবার চালান দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে এসে কয়েক দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো।

 

পরবর্তীতে মজুদকৃত মাদকের চালান স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার নির্ধারিত এজেন্টদের নিকট সুবিধাজনক সময়ে বিক্রি করে থাকে। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মাদকসহ ১১টির অধিক মামলা রয়েছে।

এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত রিপোর্ট