ই-পেপার | মঙ্গলবার , ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণা আজ মধ্যরাতে শেষ,এগিয়ে শফিউল্লাহ

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সে হিসেবে ১৯ মে মধ্যরাতে এ উপজেলায় নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা শেষ। এরে মাঝে নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

স্থানীয় সূত্রে জানান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় উপজেলার ২৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২-৩টি টি কেন্দ্র ,ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন প্রার্থীরা।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার সালাউদ্দিন আল আজাদ সাংবাদিকদের জানান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র ২৬টি। ভোটার সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৭৯টি। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ২২ হাজার ৭৭০ জন। মহিলা ভোটার ২২ হাজার ৫০৯ জন। বুথ সংখ্যা ১৩০টি।

স্থানীদের মতে ২৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে কলম্বিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, আলিক্ষ্যং মিরঝিরি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফুলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ২ জন। বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ’র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফাইল আহমদ। শফিউল্লাহ আওয়ামিলীগ মনোনীত অপর জন স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রথমে মটর সাইকেল প্রতিকের অধ্যাপক তোফাইল এগিয়ে থাকিলেও শেষ মহুর্তের প্রচারণোয় এগিয়ে অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ।

অপরদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) ২ জন। কামাল উদ্দিন ও মওলানা শাহজাহান কবির। এ দুই জনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। জনপ্রিয়তায় কামাল এগিয়ে থাকলেও সম্পদশালী ব্যক্তি হিসাবে শাহাজাহান এগিয়। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পথে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা সকলে জনপ্রিয়। শেষ মূহর্তে তারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। আর চষে বেড়াচ্ছেন গ্রামের পর গ্রাম। কলসি প্রতিকের সানজিদা আক্তার রুনা ও পদ্মা ফুল প্রতিকের হামিদা চৌধুরী সাথে হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

এদিকে এ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন নির্বাচনে নিয়োজিত বিশেষ কমিটির এক সদস্য।

রোববার বিকেলে এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তারমধ্যে ব্যালেট বাক্স সঠিকভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানোসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও নির্বিঘ্নে নির্বাচনের সকল কার্যক্রম সুচারুরূপে করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।