ই-পেপার | শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজানকে পৃথক তিন ধারায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপর তিন আসামিকে পৃথক দুই ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

বুধবার (২১ জুন) এই রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর মঞ্জুরুল ইমামের আদালত।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। তবে সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।

 

গত ৫ জুন দুদক এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর আদালত রায় ঘোষণার জন্য এই তারিখ ধার্য করেন।

 

মামলাটিতে এ নিয়ে চার্জশিটভূক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

 

২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এরপর চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

 

দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

 

২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

 

 

এইচ এম কাদের, সিএনএন বাংলা ২৪