মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থানের পরেও সীমান্তের দোছড়ি ইউনিয়নের হাতি মারা ঝিরি,পাইনছড়ি,লেমুছড়ি ও সদর ইউনিয়নের জারুলিয়া ছড়ি, ফুলতলী,ভাল্লুক খাইয়া দিয়ে প্রতিদিন আসছে বার্মিজ গরু। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত ও লোকসান গুনতে হচ্ছে দেশিও খামারিদের।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির ধারাবাহিক অভিযানে অসংখ্য গবাদিপশু জব্দ করেও চোরাই পথ বন্ধ করতে পরছেনা। বারাবরের মত বিজিবির চোখে ফাঁকি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার বিকেলে আনুমানিক ৩ শত গবাদিপশু এসব সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসছে।
বিজিবি সূত্রে জানান শুক্রবার ফুলতলি বিওপির সুবেদার মোঃ শাহআলম ফকির এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লেবু বাগান নামক স্থান থেকে মালিক বিহীন ৫ টি বার্মিজ গরু জব্দ করে বিজিবি। ওই ৫টি গরু নিলাম কার্যক্রমের জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে জমা করেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টের চোরাই পথ দিয়ে মিয়ানমার থেকে প্রচুর গরু আসার কারণে বিপাকে পড়েছে স্থানীয়ভাবে গড়ে ওটা দেশি গরুর খামারীরা। রশিদসহ অনেক খামারিরা জনান পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে মোটা তাজা গরু আসার ফলে দেশিও গরুর চাহিদা কমে গেছে। খামারি মোঃ আতাউল্লাহ বলেন,১১ বিজিবি সর্বক্ষেত্রে আমাদের সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বিপদে আপদে পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছে।
বিজিবি যদি অবৈধ পথ দিয়ে চোরাই গরুর পাচারের অভিযান আরো জোরদার করলে তার মতে দেশিও খামারীদের লোকসান গুনতে হতোনা।