ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গোসলখানায় পানি না পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিলেন তরুণী

নিজস্ব প্রতিবেদক,শরীয়তপুর:

 

শরীয়তপুর: হঠাৎ করে কয়েকদিন ধরেই অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন রুপা আক্তার (২৬)। সারাদিন কয়েকবার গোসল করতে চেয়েছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গোসলখানায় পানি না পেয়ে দৌড়ে গিয়ে বাড়ির পাশের কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দেন। নদীর প্রচণ্ড স্রোতে ডুবে মৃত্যু হয় তার।মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

এর আগে সোমবার রাত ১০টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বৈশাখীপাড়ায় কীর্তিনাশা নদী থেকে রুপার মরদেহ উদ্ধার করে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস। এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নদীতে ঝাঁপ দেন রুপা। নিহত রুপা আক্তার বৈশাখীপাড়া গ্রামের মোসলেম সরদারের মেয়ে।

 

রুপার মা রানু বেগম বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই আমার মেয়ে পাগলের মতো করছিল। আশপাশের মানুষরা বলছে ওরে নাকি জ্বীনে আছর করেছে। তাই আজ সকালে ফকিরের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আসার পর কয়েকবার গোসল করছে। আর কিছুক্ষণ পর পর পানি খুঁজেছে। ইফতারের পর আমি মাগরিবের নামাজ পড়ছিলাম। সে সময় সে আবারও পানি খুঁজতে খুঁজতে গোসলখানায় যায়। সেখানে পানি না পেয়ে দৌড়ে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। আমি পেছন পেছন দৌড়ে গিয়েও ওরে আর পাইনি। আমার বুকের মানিক চইলা গেল।

 

নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কন্ট্রোল রুম থেকে খবর পেয়ে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসি। আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পানির নিচ থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। ’

নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরিবারের লোকজন না চাওয়ায় ময়নাতদন্ত করা হয়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।