ই-পেপার | শনিবার , ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈধতা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্টগ্রাম: আদালতের রায় এবং সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈধতা নেই বলে দাবি করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

শনিবার (১৭ জুন) সকালে হোটেল সৈকতে ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামাত বিশেষ সুবিধা অর্জনের জন্য কথিত ও মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধোয়া তুলছে। আদালতের রায় এবং সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী পূরণের কোন সুযোগ নেই।

এটি যদি করতেই হয় তাহলে বিএনপি আগে সংসদে আসতে হবে এবং পার্লামেন্টে তাদের দাবির পক্ষে কথা বলতে হবে।
আ জ ম নাছির আরও বলেন, একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অস্তিত্ব নেই। জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। এই নিয়ে কোন মহল বা কোন গোষ্ঠি যদি ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করতে চায় তাহলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা সকল দল ও মতের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আন্দোলনের নামে অরাজকতা, নাশকতা কিছুতে সহ্য করা যায় না। তারা চট্টগ্রামে অরাজকতা ও নাশকতার যে মহড়া দিয়েছে তা সহ্যের সীমানা লঙ্ঘন করেছে। প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই অপশক্তিকে মোকাবেলার সময় এসেছে।

সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, বিএনপি জামাত কখনও বাংলাদেশ চায় নি এবং এখনও চায় না। তারা বিদেশে কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তাদের পক্ষে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তাদের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের উৎস কোথায় তা জাতি জানতে চায়।

তিনি আরও বলেন, কোন জনবিচ্ছিন্ন শক্তি জনগণের মঙ্গল ও কল্যাণ সাধন করতে পারে না। বিএনপি জামাত যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই তারা জনগণকে জিম্মি করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করেছে। আর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় যায় তখন জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায়। এই ধারাবাহিতকতা রক্ষা করার জন্য আওয়ামী লীগের বিজয় ছাড়া আর কোন রক্ষা নেই।

৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন সদরঘাট থানা আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মোতালেব চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ইছহাকের সঞ্চালনায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, সদরঘাট থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, যুবলীগ মহানগরের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. শওকত হোসেন, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম, রুহুল আমিন তপন, নীলু নাগ, ইউনিট আওয়ামী লীগের নুরুল কবির, জয়নাল আবেদীন, ফজল হক প্রমুখ।

দ্বিতীয় অধিবেশনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে রুহুল আমিন তপনকে সভাপতি, মো. ইব্রাহিমকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪: