নিজস্ব প্রতিবেদক:
নড়াইল: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নড়াইল সদরের তারাপুরে একটি পরিবারের তিনটি সেমিপাকা ঘর ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এছাড়াও লুটপাট করেছে আসবাবসহ চারটি গরু।
গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে তাণ্ডব চালিয়ে ঘরগুলো ভাঙলে সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউ। এ ঘটনায় পুলিশের জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদরের সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের হাবিল শেখের ছেলে নয়ন শেখের পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের জুবায়ের শেখ পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
শত্রুতার জেরে ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষ জুবায়েরের ওপর হামলা করেন নয়ন শেখের পক্ষের জুরাইল শেখের লোকজন। এতে জুবায়ের শেখ আহত হয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ঘটনার জেরে জুবায়ের শেখের পক্ষের লোক আসাদ শেখের নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নয়ন শেখের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা তাদের চারটি গরু লুট করে ও ঘরের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘরে অবস্থানকারী নয়ন শেখের বাবা ও মাকে তাড়িয়ে দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ করেছেন নয়ন শেখের পরিবার।
পরে ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার পর থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর চালিয়ে দুটি সেমি পাকা দালান ঘর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। অপর একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ ভেঙে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তারা।
নয়ন শেখ মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন “তারা তিন ঘণ্টা ধরে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করছিল, আমি খুলনার দৌলতপুর থেকে পুলিশের ৯৯৯ এ ফোন করলে তারা আমাকে মির্জাপুর ফাঁড়িতে যোগাযোগ করতে বলে। আমি ফাঁড়িতে যোগাযোগ করতে না পারায় আমার ঘরগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমি ও বাকি তিন ভাই এলাকার বাইরে থাকায় থানায় অভিযোগ করতে পারিনি। ”
এদিকে ভাঙচুরের নেতৃত্বে থাকা পাশের বাড়ির আসাদ শেখের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী রত্না বেগম সিএনএন বাংলা২৪কে বলেন, রাতে কে বা কারা ঘর ভেঙেছে তা আমরা জানি না। জমি নিয়ে বিরোধ জুবায়েরের সঙ্গে। আমার স্বামী এ ঘটনায় জড়িত নয়। আমরা গরিব মানুষ, কারোর শাতে-পাঁচে নেই।
এ ঘটনায় আসাদ শেখের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাকেও পাওয়া যায়নি।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সিএনএন বাংলা২৪কে বলেন, মারামারির ঘটনাটি আমাদের নজরে আছে। সে বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তবে বাড়ি ভাঙচুরের কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।