নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে স্বামী-স্ত্রী খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হাফিজুর রহমানকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) তাকে কুমিল্লার বুডিচং থানার ইছাপুর বর্ষা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাফিজুর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হযরত আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল জলিলের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান চাষ করেন হযরত আলী।
২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে মামলার রায় পেয়ে আব্দুল জলিল তার লোকজন নিয়ে জমিতে ধান কাটতে যান।
ধান কাটার বিষয়টি জানার পর হযরত আলী গোপনে পাশের রাইচ মিল থেকে বিদ্যুতের তার দিয়ে পুরো জমি ঘিরে রাখেন।
ওইদিন সকালে আব্দুল জলিল লোকজন নিয়ে ধান কাটতে জমিতে নামলে প্রথমে তছলিম উদ্দিন বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মর্জিনা খাতুন নামে এক নারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে উভয় মারা যান।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতে মৃত তছলিম উদ্দিনের চাচা মফিজল হক সুন্দরগঞ্জ থানায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের দোষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
তাদের মধ্যে রায় ঘোষণার পর থেকে হাফিজুর রহমান পলাতক ছিলেন। অপর দুজন আগে থেকেই জেলা কারাগারে আটক আছেন।