ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মিয়ানমারে পাচারকালে অকটেন উদ্ধার, তিনজনকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :

মিয়ানমারে পাচারকালে ৬৩৮ লিটার অকটেন উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় আটক করা হয় তিন পাচারকারীকে। তেল পাচারের অভিযোগে তাঁদের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

২২ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১২টায় এই অভিযান চালানো হয়। র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে কতিপয় চোরাকারবারী জালানি তৈল অকটেনসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজণীয় জিনিসপত্র অবৈধভাবে চোরাচাইপথে মিয়ানমারে পাচার করে আসছে।

এতে র‌্যাব-১৫ চোরাকারবারী ও পাচারকারি চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার এবং পাচার রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। যার ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের আভিযানিক দল জানতে পারে যে, অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে কতিপয় পাচারকারি জ্বালানি তৈল অকটেনসহ টেকনাফ পৌরসভা এলাকায় অবস্থান করছে।

এই সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল ওই এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তিনজন ব্যক্তি তাদের হেফাজতে থাকা অকটেন ভর্তি প্লাস্টিকের ড্রাম রেখে পালানোর চেষ্টাকালে তাঁদের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ইউএনও, টেকনাফের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আটককৃত তিন ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত চোরাকারবারীরা তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ১১টি ড্রামে সর্বমোট ৬৩৮ লিটার অকটেন জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮৪ হাজার টাকা।

আটক চোরাকারবারীরা হলো-টেকনাফ সদরের হাবিরছিড়া এলাকার মৌলভী আবদুর রহমানের পুত্র হাবিবুর রহমান (২২), নাইট্যং পাড়ার মৃত মীর মোহাম্মদের পুত্র জাফর আলম (২২) ও লেঙ্গুর বিল এলাকার মৃত আবুল কালামের পুত্র নুর হোসেন (৪০)।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই চোরাকারবারীর সাথে জড়িত। তারা পরস্পর-পরস্পরের সহযোগীতায় দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানী তৈল অকটেনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো। পরবর্তীতে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারে পাচার করে থাকে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে পেট্রোলিয়াম আইন, ২০১৮ এর ২০ ধারায় দন্ড প্রদান করা হয়।