ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাজমুল হাসান নামছেন তিন বছরের লক্ষ্য নিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :

ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে অভিষেক হলো বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। তাঁকে দেওয়া হলো ফুলেল শুভেচ্ছা। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। ছবি: আজকের পত্রিকা
এক দশকের বেশি সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অভিভাবক নাজমুল হাসান পাপন। গতকাল থেকে ৩৭ ফেডারেশন ও ১৬ অ্যাসোসিয়েশনের অভিভাবক হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু তাঁর। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে গতকাল ‘অভিষেক’ হয়ে গেল পাপনের।

বিসিবি সভাপতি পদে থাকা পাপন সব সময় ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। তাঁকে দিয়েই ৩৩ বছর পর পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর অভাব পূরণ হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের। মন্ত্রী হয়ে তিনি কী কী উদ্যোগ নেবেন বা নিতে চান, সেসব শুনতেই গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়ও ছিল দেখার মতো। অসংখ্য প্রশ্নের জবাবে পাপন ছিলেন মার্জিত, উত্তর দিয়েছেন বেশ গুছিয়ে।

প্রতি অর্থবছরে বাজেটের দিক থেকে নিচের দিকে থাকে ক্রীড়া খাতের বরাদ্দ। যতটুকু বরাদ্দ, সিংহভাগ চলে যায় প্রশাসন ও পরিচালনা খাতে। তলানিতে পড়ে থাকে ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ আর উন্নয়ন বরাদ্দ। এতে অনেক ফেডারেশনের সম্ভাবনা থাকার পরও অর্থের অভাবে মেলে না সাফল্য অর্জনের সুযোগ। কিছু ফেডারেশন আবার টিকে আছে শুধুই নামে। সব ফেডারেশনের সঙ্গে বসে তিন বছরের মধ্যে একটি লক্ষ্য ঠিক করার কথা জানিয়েছেন নতুন মন্ত্রী। পাপন বলেছেন, ‘ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে বসে তাদের মূলত আর্থিক সমর্থনই দেব। তখন তাদেরও আমাকে একটা লক্ষ্য দিতে হবে। এখন কোথায় আছি, সামনে কোথায় যাব, বলতে হবে। তারা ৫-১০ বছরের সময় নিতেই পারে। কিন্তু তিন বছর পর কোথায় যাব, সেটা বলতে হবে। যাদের সমর্থন দেব, তারা সেটা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারছে কি না, সেটা দেখতে হবে। কেউ যদি অর্জন না করতে পারে, তাহলেই সব বাতিল হবে এমন নয়; যদি সম্ভাবনা দেখি, তাহলে প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। আর যদি দেখা যায়, তাদের দিয়ে সম্ভব নয়, তাহলে আমরা দ্বিতীয়বার চিন্তা করব যে ওদের দিয়ে হবে না।’

নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের চেয়ে মাঠের সংখ্যা বাড়ানোর দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে চান মন্ত্রী পাপন। তিনি বললেন, ‘স্টেডিয়াম তো আছে। কিন্তু মাঠ কোথায়? মাঠ না থাকলে মানুষ খেলবে কোথায়? আমার কাছে স্টেডিয়ামের চেয়ে মাঠ বেশি প্রয়োজন। স্টেডিয়াম আমাদের অনেক আছে। অনেক স্টেডিয়াম তালাবদ্ধ, খেলা হয় না। আবার অনেক স্টেডিয়াম সকলের জন্য উন্মুক্ত নয়। আমাদের আগে দেখতে হবে স্টেডিয়ামের সংখ্যা কত এবং এগুলোর মধ্যে সক্রিয় কয়টি। এরপর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’

মাঠের প্রসঙ্গে চলে আসে এনএসসির সঙ্গে বিসিবির দূরত্বের কথাও। সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিসিবিকে বলেছিলেন এনএসসির ‘অবাধ্য সন্তান’! ক্রিকেটের সঙ্গে এনএসসির এই দ্বন্দ্ব নিরসনে কতটা উদ্যোগী হবেন, সেই প্রশ্নে দূরত্বের বিষয়টি অস্বীকারই করেছেন পাপন, ‘রাসেল এ ধরনের কথা বলতেই পারে না। সে আমার ছোট ভাই। এ কথা বলার প্রশ্নই আসে না। সে অনেক ভালো কাজ করেছে। এখানে দূরত্ব বলে কিছু নেই।’