ই-পেপার | সোমবার , ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফিফার মেন্স বিশ্ব একাদশে আছেন যারা

ক্রীড়া ডেস্ক :
আর্লিং হালান্ডকে পেছনে ফেলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট জিতেছেন লিওনেল মেসি। ছেলেদের সেরা ফুটবলার মেসির পাশাপাশি মেয়েদের ফুটবলে আইতানা বোনমাতি জিতেছেন এই পুরস্কার। সেরা কোচ হয়েছেন পেপ গার্দিওলা। লন্ডনে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ এর জমকালো এই রাতে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না মেসি।

অনুষ্ঠানের মাঝে গত বছর প্রয়াত তিন কিংবদন্তি মারিও জাগালো, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও ববি চার্লটনের প্রতি শ্রদ্ধাও জানানো হয়। বেকেনবাওয়ারকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন জার্মানির সাবেক মিডফিল্ডার ব্রেইটনার।

মেয়েদের ‘দ্য বেস্ট’ কোচের পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ড নারী দলের ডাচ কোচ সারিনা ভাইগমান। সিটির হয়ে ট্রেবলজয়ী ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার এদেরসনের হাতে উঠেছে ছেলেদের ‘দ্য বেস্ট’ গোলকিপারের পুরস্কার। সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার সঙ্গে ছিলেন মরক্কো ও আল হিলালের গোলকিপার ইয়াসিন বুনু এবং রিয়াল মাদ্রিদের গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলকিপার মেরি আর্পস টানা দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন মেয়েদের ‘দ্য বেস্ট’ গোলকিপারের ট্রফি।

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালি অবস্থানের জন্য ফিফা ফেয়ারপ্লে পুরস্কার পেয়েছে ব্রাজিল ছেলেদের জাতীয় দল। রবার্তো কার্লোস ও রোনালদোদের নিয়ে ট্রফিটি নিয়েছেন ব্রাজিলেরই বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি কাফু।

আর্জেন্টিনার ক্লাব কোলনের সমর্থক হুগো দানিয়েল ইনিগুয়েজ জিতেছেন ফিফা ফ্যান পুরস্কার। গত বছর আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগে বারাকাস-কোলন ম্যাচে নিজের বাচ্চা শিশুকে বোতলে দুধ খাওয়াতে খাওয়াতে ম্যাচ দেখছিলেন তিনি। মঞ্চে ওঠার পর তার বাচ্চা অবশ্য কেঁদে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানের মাঝে এক ফাঁকে অঁরি জানান, আগামী বছর থেকে মেয়েদের ফুটবলে সেরা গোলের পুরস্কারের নাম হবে ‘মার্তা অ্যা্ওয়ার্ড।’ ব্রাজিলের ‘স্কার্ট পরা পেলে’খ্যাত মার্তাকে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ ট্রফিও দেওয়া হয়। ট্রফিটি দেন ব্রাজিলের প্রয়াত কিংবদন্তি পেলের স্ত্রী মার্সিয়া আইওকি। বোটাফোগো-এসপির হয়ে গত বছর ব্রাজিলের দ্বিতীয় বিভাগে বাইসাইকেল কিকে করা গিলের্মে মাদুরগার গোলটি পেয়েছে পুসকাস অ্যাওয়ার্ড।

২০২৩ ফিফা ফিপ্রো মেন্স বিশ্ব একাদশে আছেন যারা—

গোলরক্ষক : থিবো কোর্তোয়া (রিয়াল মাদ্রিদ, বেলজিয়াম)

ডিফেন্ডার : রুবেন দিয়াজ (ম্যানচেস্টার সিটি, পর্তুগাল); জন স্টোন্স (ম্যানচেস্টার সিটি, ইংল্যান্ড) ও কাইল ওয়াকার (ম্যানচেস্টার সিটি, ইংল্যান্ড)

মিডফিল্ডার : জ্যুড বেলিংহ্যাম (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড/রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড); কেভিন ডি ব্রুইনা (ম্যানচেস্টার সিটি, বেলজিয়াম) ও বার্নার্দো সিলভা (ম্যানচেস্টার সিটি, পর্তুগাল)

ফরোয়ার্ড : আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি, নরওয়ে); কিলিয়ান এমবাপে (পিএসজি, ফ্রান্স); লিওনেল মেসি (পিএসজি/ইন্টার মায়ামি, আর্জেন্টিনা) ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল)