ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আ’লীগের নেতারাই মধ্যরাতে ভোটচুরির স্বীকারোক্তি দিচ্ছে : ডা. শাহাদাত

শেখ আলাউদ্দিন, চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিগত দুইটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ওপর মহলের নির্দেশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা রাতেই নাকি ৬০ শতাংশ সিল মেরেছে। আওয়ামী লীগের নেতারাই মধ্যরাতে ভোটচুরির স্বীকারোক্তি দিচ্ছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলও ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি সেই ফলাফল শুধু ঘোষণা করা হবে। কোন আসনে কোন প্রার্থী কত ভোট পাবেন, সেটিও নির্ধারণ হয়ে গেছে। তাই এখন তামাশার নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে কেউ ভোট চায় না। সবাই ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার দাওয়াত দেয়। কারণ প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগের মনোনীত ও অনুমোদিত প্রার্থী। তাদের লক্ষ্য একটাই-‘আমরা আর মামুরা’ মিলে ভোটে নির্বাচিত হওয়া।

তিনি শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ আবাসিক ও মেডিকেলের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে ড্যাবের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

তিনি ড্যাব নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় দোকানদার, বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিকের ডাক্তার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, দেশে যে নির্বাচন নাটকের মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে, সেটা কোনো নির্বাচনই না। নির্বাচনের যে সংজ্ঞা তার মধ্যেই এটা পড়ে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে অভিনব তামাশা করছে। সমগ্র বিশ্ব একমত বাংলাদেশে কোন ইলেকশন হয় না, এক ব্যক্তির দ্বারা সিলেকশন হয়। তাই ভোট নাটক বর্জনের ডাকে সকল ভোটার ঐক্যবদ্ধ।

এতে উপস্থিত ছিলেন ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক, ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আব্বাস উদ্দীন, ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম, ড্যাব নেতা ডা. নাজমুল মোর্শেদ, ড্যাব চমেক শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মেহেদী হাসান প্রমূখ।

এছাড়া কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এনায়েত বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য সাইফুর রহমান শপথ ও মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমনের নেতৃত্বে পশ্চিম মাদারবাড়ি চট্টলা বেকারি এলাকায় সদরঘাট থানা যুবদলের লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন নগর যুবদলের সহ সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ হারুন, সদরঘাট থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক নুর খাঁন, সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাশেদ, পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খাঁন রাজু, উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মো. ইউনুছ। মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আলিফ উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্বে প্রবর্তক এলাকায়, উত্তরজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আবু বকর ছিদ্দিকী সোহেলের নেতৃত্বে আমান বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হয়।