নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁদপুর :
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামন থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার সূত্র ধরে নারায়ণগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চোর চক্রের ৩ সদস্য ও চুরি যাওয়া ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের বাবুরহাট এলাকায় পিবিআই জেলা কার্যালয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চাঁদপুর জেলায় পিবিআই কাজ শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার ছায়া তদন্ত করে। তারই অংশ হিসেবে গত ২৮ নভেম্বর দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শরীফ গাজীর ১৫০সিসি পালসার মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তকালে পিবিআই বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি এবং নিজস্ব ইনটেলিজেন্স এর মাধ্যমে ওই ঘটনার সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখে। পরে চুরির ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানার মামলাটি পিবিআই সিডিউলভুক্ত হয়।
এরপর মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমিরুল ইসলাম মীরকে। তিনি একটি বিশেষ দল গঠন করে অভিযান পরিচালনা করেন। ওই দলটি ২৩ ডিসেম্বর অভিযান করে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের সদস্য বাপ্পিকে (২১) গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যে মতলব উত্তর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চক্রের সদস্য মো. হাসান আহাম্মেদ (২৮) ও মো. রাজিবকে (২১) গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী রাতে মতলব উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তার বাপ্পি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বারো হাতিয়া গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির চাঁন মিয়ার ছেলে। হাসান আহাম্মেদ একই ইউনিয়নের দক্ষিণ লুধুয়া গ্রামের মৃত গোলাম মোস্থফার এবং রাজিব একই ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠেটালিয়া গ্রামের মো. জসিম ঢালির ছেলে।
পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ আরও বলেন, আমরা চোর চক্রের তদন্ত করতে গিয়ে অনেক তথ্য পেয়েছি। এ চক্রের প্রধান ব্যক্তির পরিচয় জেনেছি। মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্য রয়েছে শতাধিক। চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলগুলো যেসব স্থানে রাখা হয় সেগুলোর তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। আমরা এ চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও মোটরসাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। গ্রেপ্তার আসামিদের চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।