মোঃ আঃ রহিম জয় চৌধুরী ফেনী
দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহীগুনীর সেই গৃহবধু পারুল আক্তার (৫০)কে খুনের ঘটনায় ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।তারা হলেন, লক্ষীপুর জেলার টুমচর এলাকার বাদশার বাপের বাড়ির মঈন উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন (২০) ও ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা আফজল মিস্ত্রি বাড়ির সেলিমের ছেলে ইহাব হোসেন শুভ (২০) এবং ঘটনাস্থল সংলগ্ন উত্তর বারাহীগুনী এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল আউয়াল প্রকাশ সাদ্দাম (৩৬)।
এদের মধ্যে মোবারক হোসেন বেশ কিছুদিন যাবৎ ফেনী সদর উপজেলার মাথিয়ারা জেলে বাড়ির প্রবাসী তারেকের বাসায় থাকতো। গ্রেপ্তারের পর সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে সে ঘটনার দায় শিকার করেন। পুলিশ জানায়,গত ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর বারাহীগুনী পাটোয়ারী বাড়ীর নিজ ঘর থেকে পারুল আক্তার নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত পারুল আক্তার ওই বাড়ির প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী ও জায়লস্কর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন চৌধুরীর ছোট বোন।
এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর অজ্ঞাত আসামী দিয়ে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার কোন কারন অথবা ঘটনায় সম্পৃক্ত কাউকে অভিযুক্ত করতে পারেনি ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্বজনরা। রবিবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার মাথিয়ারা জেলে বাড়ি থেকে মোবারক হোসেন নামের এক যুবককে এ ঘটনায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
এক পর্যায়ে ওই যুবক ঘটনার বিস্তারিত পুলিশকে জানালে পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে। পরে সে আদালতে ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আরও ২ জনের নাম জানায়।
মোবারক হোসেন জানায়, ওই রাতে তারা ৩ জন পারুলের ঘরে চুরি করতে প্রবেশ করে। বিষয়টি টের পেয়ে ফারুল তার মোবাইলে ভিডিও করতে থাকে। বিষয়টি দেখে মোবারকসহ তার সঙ্গীরা ওই নারীর হাত থেকে মোবাইলটি ছিনিয়ে নিতে জোরজবরদস্তি শুরু করে।
মোবাইলটি নিতে না পেরে ওই নারীর মাথায় আঘাত করে চোরের দল। এতে ওই নারীর মৃত্যু হলে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ সোমবার মোবারকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাকী ২ জন আসামীকেও গ্রেফতার করেছে।
দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল হাসিম জানান, আদালতে মোবারকের স্বীকারোক্তিতে উঠে আসা ঘটনায় সম্পৃক্ত শুভ ও সাদ্দাম নামের আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
