মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ ছিদ্দিকী :
সিএনএন বাংলা-র উপদেষ্টা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কান্ট্রি এডিটর, কক্সবাজারের চকরিয়ার কৃতি সন্তান, দুবাইয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা, জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়ার সাবেক কৃতি ছাত্র হাফেজ মাওলানা মীর কামাল সংযুক্ত আরব আমিরাতে United Arab Emirates Federal authority for identity & citizenship এর পক্ষ থেকে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন।
মীর কামাল বর্তমানে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থায় মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন। এছাড়া তিনি আরব আমিরাতে বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্যের পাশাপাশি দুবাইয়ে জাতীয় পত্রিকার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি একজন লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক।
মাওলানা মীর কামাল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। নানাভাবে আপ্যায়ন ও পানি পান করিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় পাশে ছিলেন।
মাওলানা মীর কামাল শিক্ষাজীবনে কুরআনুল কারিমের হিফজ শেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। পরে চকরিয়ার বাইন্নারচর নিজের এলাকায় ও ঈদগাঁওর পোকখালী মাদ্রাসায় ভর্তি হন। পরবর্তীতে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল তালিমুদ্দিন মাদ্রাসা থেকে জমাতে হাস্তুমে মার্কেজি পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ করেন। এরপর তিনি আল জামেয়া আল ইসলামিয়া জমিরিয়া কাসেমুল উলুম পটিয়া মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন। পাশাপাশি তিনি সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায়ও লেখাপড়া করেন। তিনি একইসাথে ইংলিশ, আরবি ও বাংলা ভাষায় একজন সুদক্ষ বক্তা।
তিনি পারিবারিকভাবেও অত্যন্ত সফল একজন ব্যক্তি। তাঁহার ছয় সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে হাফেজ উসামা এমিরেটস এয়ার লাইনসের সুপারভাইজার। দ্বিতীয় মেয়ে আরব আমিরাতের হার্ভার্ড বৃটিশ স্কুলের ইংলিশ শিক্ষক, তৃতীয় জন হিফজুল কোরআনে আরব আমিরাতের জাতীয় হেফজ প্রতিযোগিতায় ২স্থান অধিকার করেছেন। তার এই সন্তান বর্তমানে দুবাই সরকারি মসজিদের ইমাম ও পাশাপাশি দুবাই জুমাইরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে অধ্যয়ন করছেন। চতুর্থ সন্তান ও মেয়ে পুরো কোরআন হেফজে দুবাই মকতুম সেন্টার থেকে গোল্ড মেডল পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি দুবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়ছেন। ৫ম সন্তান কুরআনের হিফজ সমাপ্ত করে বর্তমানে সেখানকার একটি ইংলিশ স্কুলে পড়াশোনা করছেন। ৬ষ্ঠ সন্তান (মেয়ে) দুবাইয়ের একটি ইংলিশ স্কুলে অধ্যয়নের পাশাপাশি কুরআন হিফজ করছেন।
এদিকে, সিএনএন বাংলা২৪-র উপদেষ্টা ও আরব আমিরাতের কান্ট্রি এডিটর মীর কামাল সেদেশের গোল্ডেন ভিসা লাভ করায় অভিনন্দন জানিয়েছে সিএনএন বাংলা পরিবার।