ই-পেপার | শনিবার , ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তামিমের ভবিষ্যৎ ধারাভাষ্যেই

ক্রীড়া ডেস্ক

মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম তো তামিম ইকবালের কাছে অচেনা নয়। ব্যাট হাতে এই মাঠে গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তাঁর ব্যাটে দেখা গেছে রানের ফুলঝুরি।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মিরপুরে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যেত তামিমকে। তবে তিনি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা ঘরোয়া ক্রিকেট—কোনো ধরনের ক্রিকেটে নেই আড়াই মাস ধরে। চেনা পরিচিত মিরপুরে এবার অন্য ভূমিকায় এসেছেন তামিম। ব্যাটের পরিবর্তে এবার তাঁর হাতে দেখা গেছে মাইক্রোফোন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবারই প্রথম ধারাভাষ্যকার হিসেবে এসেছেন তিনি। আতহার আলী খানের পাশে বসে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন তামিম। তামিমকে ধারাভাষ্যকক্ষে আতহার পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন এই বলে, ‘আমার পাশে যে বসে আছে, তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজারের ওপর রান করেছেন।’

ধারাভাষ্য কক্ষে আতহারের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন তামিম। মজা করেছেন নিউজিল্যান্ডের ধারাভাষ্যকার গ্র্যান্ট এলিয়টের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম দিনের ধারাভাষ্যের অভিজ্ঞতা তামিম বর্ণনা করেছেন নিজের ফেসবুক পেজে, ‘এই মাঠে তো অসংখ্যবারই এসেছি, তবে এবারের আসা অন্য রকম। অভিষেকের রোমাঞ্চের ছোঁয়া পেলাম যেন নতুন করে। আমার সহ-ধারাভাষ্যকার যাঁরা ছিলেন, প্রডিউসার ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা আমার উপস্থিতিকে আনন্দময় করে তোলার জন্য।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আগেও তামিমের ধারাভাষ্য দেওয়ার ঘটনা রয়েছে। ২০২২ বিপিএলে মাইক্রোফোন হাতে দেখা গেছে তাঁকে। অন্যদিকে কদিন আগে তামিম জানিয়েছিলেন, ২০২৪ বিপিএল দিয়ে মাঠে ফিরবেন। তার আগে ২০২৩ বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটার জানিয়েছিলেন, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। সেটারই (২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকার) যেন ইঙ্গিত দিয়েছেন তামিম, ‘আগে খানিকটা ধারাভাষ্য দিয়েছি বিপিএলে। তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ, বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচে ধারাভাষ্যের ব্যাপারটিই তো আলাদা। শুরুর দিনটি দারুণ উপভোগ করেছি। আশা করি, খুব দ্রুতই মাইক্রোফোন হাতে আবার দেখতে পাবেন আমাকে। এটা তাঁর চেয়ে ভালো আর কে জানবেন, যে এত দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন।’

তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাভাষ্যকারের প্রথম দিনই ঘটেছে অদ্ভুত ঘটনা। বাংলাদেশের ইনিংসের ৪১তম ওভারের চতুর্থ বলে জেমিসনের বলটা রক্ষণাত্মক খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম, বল অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে চলে যাচ্ছিল। মুশফিকের মনে কী যে হলো, গ্লাভস দিয়ে বলটা আবার সরিয়ে দিতে গেলেন। এরপর যা হওয়ার সেটিই হলো, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ‘অবস্ট্র্যাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হলেন মুশফিক। ধারাভাষ্যকার তামিম বড় বিস্ময় নিয়ে বললেন, ‘খুবই হতাশার…বল তো উইকেটে হিট করছিল না। এটা করার কোনো দরকারই ছিল না। একেবারেই দুর্ভাগ্য। দল এটা ভাবতেই পারেনি, মুশফিক যা করল।’