ই-পেপার | সোমবার , ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পরিবেশগত সংকট নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি : বাপা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র কক্সবাজার জেলা শাখার এক জরুরি সভা সংগঠনের সহসভাপতি সাংবাদিক এইচ এম এরশাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহর সঞ্চালনায় ২৯ নভেম্বর বিকাল ৪ টায় অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির। বক্তব্য রাখেন, সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কে পাল, কমরেড সমীর পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক নেজাম উদ্দিন, মোসাদ্দেক ফারুকী, ইসমাইল সাজ্জাদ, আজিম নিহাদ, এডভোকেট জাফর আলম দিদার, এরফান উল হাসান, এনামুল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসাইন, জাহেদ হোসেন প্রমুখ।

সভায় সকলের বক্তব্যে একটি বিষয় সুস্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয়েছে, কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, পরিবেশগত বিভিন্ন সমস্যা; যেমন,জলাবদ্ধতা, পাহাড় কাটা, নদী-খাল ও জলাশয় ভরাট, দখল-দূষণ রোধের মাধ্যমে জেলার অমূল্য ঐতিহ্যকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।

সভায় বক্তারা বলেন, জেলাজুড়ে পাহাড়-টিলা-বন- বাঁকখালী নদী কিছুই ভালো নেই। কক্সবাজার পৌরসভার বর্জ্য ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বাঁকখালী নদীতে। কিছুদিন পূর্বে বাঁকখালী নদীর দখল উচ্ছেদে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। অজ্ঞাত কারণে এটা বন্ধ আছে, পূণরায় দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। তাই জেলাবাসীর মৌলিক নাগরিক অধিকার সংরক্ষণের প্রয়োজনে, নদী দখল উচ্ছেদ, পৌরসভার বর্জ্য দূষণ রোধসহ সার্বিক পরিবেশগত সংকট নিরসনে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। বক্তারা আরও বলেন, জেলার নদ-নদী, পাহাড়, টিলা, পুকুর, সমুদ্র, জলাশয় দূষন-দখলের চিত্র আজ দৃশ্যমান। তিনি বলেন, আমাদের নদী সমুদ্র সুস্থ নেই। আজ সুস্থ স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই।

 

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, আবু বক্কর, স ম ইকবাল বাহার, সুজন দাশ, জাহাঙ্গীর আলম শামস্, আবুল কাশেম, ধ্রুব সেন, জাবেদুল আনোয়ার, চাষি দিদারুল আলম, শাহিদুল ইসলাম শাহেদ, আসাদুজ্জামান সায়েম, পারভেজ মোশাররফ, নাজমুল ইসলাম মিঠু, উছেন থোয়েন, মংথেলা রাখাইন, মা টিনটিন, ফাতেমা আক্তার শাহী প্রমুখ।

 

সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে সিনিয়র সাংবাদিক, জেলা বাপার সহসভাপতি এইচ এম এরশাদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোনীত করা হয়। একই সাথে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জেলা সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেইসাথে সংগঠনকে গতিশীল করতে জেলা শাখার আওতাধীন সমস্ত উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।