আব্দুল বাছিত খান,জেলা সংবাদদাতা,মৌলভীবাজার :
নিজ ইউনিয়নে সংবর্ধিত হলেন দেশে প্রথমবারের মতো কলাগাছের তন্তু থেকে সুতা তৈরি করে মণিপুরি শাড়ির উদ্ভাবক রাধাবতী দেবী। আজ (২৭ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে রাধাবতী দেবীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম। অনুষ্ঠানে কলাবতী শাড়ি উদ্ভাবক রাধাবতী দেবীকে আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সংবর্ধনার পূর্বে এক আনন্দ র্যালি বের হয়। এ সময় মৈরাপাইবী মহিলা সমিতির সভানেত্রী সৌদামিনী শর্মাসহ মণিপুরি তাঁতিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাধাবতী দেবী চ্যালেঞ্জ নিয়ে ১৫ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে কলাগাছের তন্তু থেকে প্রথমবারের মতো শাড়িটি তৈরি করে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হতে তুলে দেন।
এজন্য রাধাবতী দেবী মণিপুরি সমাজ ও কমলগঞ্জ তথা মৌলভীবাজার জেলাবাসী গর্বিত ও আনন্দিত।
রাধাবতী দেবী জানান, বান্দরবান জেলা প্রশাসকের ডাকে সাড়া দিয়ে শাড়িটি বুনেছি। আমার এলাকায় যারা মণিপুরি শাড়ি বুনেন, সবাই আমাকে বলেছিলেন এ দায়িত্ব না নিতে। তারপরও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফল হই। ১৯৭৫ সাল থেকেই সুতা দিয়ে শাড়িসহ নানা কিছু তৈরি করেছি। কিন্তু কলাগাছের সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরি ছিল আমার কাছে একেবারেই নতুন। দীর্ঘ ১৫ দিনের চেষ্টায় আরও তিনজন সহযোগীকে নিয়ে তাঁতে বসে তৈরি করে ফেলি জামদানি ডিজাইনের কলাগাছের সুতা দিয়ে তৈরি শাড়ি।
রাধাবতী দেবী আরও বলেন, কলাগাছের সুতা তৈরিতে গবেষণা করে ভালো সুতা তৈরি করতে পারলে আরও ভালো মানের শাড়ি তৈরি করা যাবে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কলাবতী শাড়িটি বাজারজাত করা যাবে।
এইচ এম কাদের, সিএনএন বাংলা ২৪