ই-পেপার | সোমবার , ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পটিয়ায় স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গণশুনানি

আবদুল হাকিম রানা পটিয়া :

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) টিআইবি,র যৌথ উদ্যোগে সেবাগ্রহীতাদের অংশগ্রহণে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে গণশুনানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে গতকাল দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) পটিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির আহবায়ক সাংবাদিক আবদুর রাজ্জক এর সঞ্চালনায় ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিববার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. জয়দত্ত বড়ুয়া, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আয়ুব নবী, টিআইবির এরিয়া কোর্ডিনেটর এ.জি.এম. জাহাঙ্গীর আলম।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. তানিয়া তাজরীন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম) ডা. মোছাম্মৎ সুলতানা আখতার, সিনিয়র স্টাফ নার্স রূপালী দেবী, সিনিয়র স্টাফ নার্স জেসমিন আকতার, এসিজি ও ইয়েস সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, সীমিত জনবল ও বাজেটের মধ্য দিয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চেষ্টা করছে জনগণকে কাঙ্খিত সেবা দিতে। পটিয়া উপজেলার সেবা গ্রহীতাদের পাশাপাশি চন্দনাইশ, আনোয়ারা, কর্ণফুলি, বোয়ালখালী উপজেলা থেকেও নিয়মিত রোগীরা আসছেন সেবা নিতে। নানা সীমাবদ্ধতায় হয়তো প্রত্যাশিত সেবা পাওয়া না গেলেও ডাক্তার, নার্সদের আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি নেই। এই হাসপাতাল জনগনের সম্পদ, একে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও দালালমুক্ত রাখার দায়িত্বও সবাইকে নিতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জনবান্ধব হাসপাতালে পরিনত করার অব্যাহত প্রয়াসের তাগিদ দেন।

 

প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে সেবাগ্রহীতারা বলেন পূর্বের তুলনায় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাও অনেক ভালো। রোগীদের অসচেতনতার জন্য মাঝে-মধ্যে ওয়ার্ড বা টয়লেট অপরিচ্ছন্ন হলেও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কিছুক্ষণ পরে গিয়ে আবার পরিস্কার করে দেয়। কিছু ঔষুধ বাহির থেকে কিনে আনতে হলেও হাসপাতালে সেবা পাচ্ছেন যা বাইরের প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে তাদের পক্ষে নেওয়া সম্ভব হতোনা। মূলত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা অনেকেই অস্বচ্ছল পরিবারের। এ সময় রোগীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ দ্রæত সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষ তৎক্ষনাত উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচৗ নাথ বলেন, যে কোনো মূল্যে, যে কোন ত্যাগ স্বীকার করে হলেও জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে পাশ^বর্তী অন্যান্য উপজেলা থেকেও নিয়মিত রোগী আসেন। আউটডোরে প্রতিদিন ৪/৫ শত রোগীকে সেবা দিতে হয়। ৫০ বেডের ইনডোরে ৭০-৮০ জন প্রায় প্রতিদিন ভর্তি থাকে। কখনো কখনো ১০০ জন ছাড়িয়ে যায়। সে বিবেচনায় জনবল নেই। যার ফলে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য সকলের সদিচ্ছা থাকলেও কাঙ্খিত সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। প্রতিদিন নরমাল ও সিজারিয়ান ডেলিভারি হচ্ছে, চোট-খাটো সার্জারিও হচ্ছে। বৈকালিক সেবাও চালু হয়েছে, রাত ৮ টা পযর্ন্ত প্যাথলজি সেবা চালু আছে। জরুরী এম্বুলেন্স সার্ভিস বা যে কোন বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক জানা যাবে। সেবা নিতে এসে যে কোন ধরণের অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে অবগত করার জন্য অথবা অভিযোগ বাক্সে জমা দেওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।