ই-পেপার | রবিবার , ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নতুন কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন

আবুল ফয়েজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম :

 

সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও নতুন শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন, পূর্বের নম্বরভিত্তিক পরীক্ষা পদ্বতি চালুসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

 

২৭ অক্টোবর, শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান সড়কে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হন অভিভাবক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মানবন্ধনে অংশ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে নতুন কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের মৌলিক শিক্ষা প্রদানে কোনোরূপ কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে না। পরীক্ষা পদ্ধতি চালু না থাকায় শিক্ষার্থীর জ্ঞ্যান বিকাশ পরিলক্ষণের কোনো মাধ্যম নেই বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকেরা। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে ডিম ভাজি ও আলু ভর্তা রান্না শিখানোতে রীতিমতো অবাক অভিভাবক ও শিক্ষকেরা।

এছাড়াও ৮ম শ্রেণিতে বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণ বাদ পড়ার শঙ্কার কথাও জানান তারা। নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

শিক্ষক ও অভিভাবকদের মতামত ছাড়াই নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করা ও পাশ করা হয় বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।

 

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, এই শিক্ষাপদ্ধতিতে মৌলক শিক্ষার কোনো কদর নেই। মৌলিক শিক্ষা ছাড়া ব্যবহারিক শিক্ষা কতটুকু কার্যকরি তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।

 

মানববন্ধনে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি উত্থাপন করেন তা হলো- শিক্ষার্থীদের ডিভাইসমুখী হতে উৎসাহিত না করে তাত্বিক অধ্যয়নে উৎসাহিত করতে হবে, নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ বহাল রাখা, পরীক্ষা পদ্বতি চালু রাখা, সকল প্রজেক্ট বিদ্যালয়ে করতে হবে এবং সকল ব্যয়ভার বিদ্যালয়ের বহন করতে হবে, ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি পদ্বতি চালু করতে হবে, কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে তা অবশ্যই জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হতে হবে, অবিলম্বে নতুন শিক্ষাক্রমে আনীত সকল পরিবর্তন বাতিল করতে হবে।

 

এর আগে চলতি বছর থেকে দেশে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলসহ একাধিক দাবিতে ১৯ অক্টোবর রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের সামনের সড়কে প্রথম মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন অভিভাবকরা। তাদের এ আন্দোলনের সংহতি জানান শিক্ষকেরাও। সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ওই কর্মসূচিতে সারা দেশের স্কুলে স্কুলে একই কর্মসূচি পালন করার আহবান জানানো হয়।

 

এদিকে সারাদেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে। অন্যদিকে কোচিং বানিজ্যের সিন্ডিকেট ভুয়া অভিভাবকদের নিয়ে আন্দোলন করছেন বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪