নিজস্ব প্রতিবেদক :
হামুন চলে গেলেও রেখে গেছে তার ক্ষতচিহ্ন; কক্সবাজার শহরের রাস্তায় রাস্তায় এখনো পড়ে আছে অনেক গাছপালা; শহরের প্রধান সড়কের ঝাউতলায় বড় একটি শিশুগাছ উপড়ে পড়েছিল, সেটি সেভাবেই আছে। প্রধান সড়কের এই অংশটি এখনো বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সরকারি বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তাসহ বেশ কয়েকটি সড়কে এখনো গাছপালা পড়ে আছে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে কক্সবাজার শহরে বিদ্যুৎ নেই। এছাড়া মোবাইল নেটওয়ার্কেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বেড়াতে আসা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি জানান, অনেকগুলো বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে এবং ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গেছে। তাই বিদ্যুৎ পুরোপুরি ঠিক হতে দুইদিন সময় লাগবে।
সংশ্লিষ্ট অপারেটর থেকে মেসেজ দিয়ে গ্রাহকদের জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় মোবাইল সেবা পেতে সাময়িক সমস্যা হতে পারে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নয়নে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজার শহর এখন বিদুৎবিহীন। ইন্টারনেট সংযোগও নেই। মোবাইলের নেটওয়ার্কও ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি জানান, হামুনের প্রভাবে দেয়াল ও মাটিচাপায় এখন পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।