এম, শহীদুল ইসলাম, কুতুবদিয়া :
‘পানি ও স্যানিটেশন সংকট সমাধানের জন্য পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ, প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বিশ্ব পানি দিবস-২০২৪ পালন করেন দ্বীপের পরিবেশকর্মীরাসহ সর্বস্তরের লোকজন।
বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে সুপেয় পানির দাবিতে পানি সমাবেশ এবং অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক জাতীয় সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকাল সাড়ে তিনটা দিকে দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় সুপেয় পানির দাবিতে পানি সমাবেশ এবং অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
এ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচীতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার আহবায়ক এম শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শাহেদুল ইসলাম মনির এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কুতুবদিয়া উপজেলার জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুল মোনাফ সিকদার, সংগঠনের যুগ্ম সদস্য সচিব মাষ্টার মিজানুর রহমান ও স্থানীয় মাষ্টার শওকত হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, উপকূলীয় দ্বীপ কুতুবদিয়ায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট। এই দ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় পানি না ওঠায় অকেজো পড়ে আছে অগভীর নলকূপ। দ্বীপের উত্তর ধূরুং, দক্ষিণ ধূরুং এবং লেমশীখালী ইউপিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে দশ-বিশটি বাড়ি মিলিয়ে একটি নলকূপ আবার কোন কোন স্থানে কোন নলকূপ নাই। দ্বীপের কিছু এলাকায় ৮শ থেকে ৯শ ফুট নিচে সুপেয় পানির স্তর কোথাও আবার ১২শ ফুট গভীরে নলকূপের পাইপ বসাতে হচ্ছে। তবে বর্তমানে দ্বীপের বৃহৎ খাল পাইলটকাটা এর ভরাট, দখল দূষনে নাব্যহীন হয়ে পড়ায় বিগত ৩-৪ বছর যাবৎ লবনচাষীরা পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ লবন পানি উত্তোলন করে লবন চাষ করে আসছে। ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। তাছাড়া কৃষকরা ডিব- টিউবওয়েলের মাধ্যমে সুপেয় পানি তোলে ধান চাষ করায় সুপেয় পানির টিউবওয়েলেও পানি উঠছেনা। এ সবের কারণে দ্বীপে সুপেয় পানির হাহাকার বিরাজ করছে। ডিব-টিউবওয়েল বা পানির পাম্প মেশিন ব্যবহারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে দ্বীপবাসী পান করার জন্য সুপেয় পানি পাবেনা। তাছাড়া লেমশীখালী ইউপিবাসী পানির সংকটে থাকায় সদর ইউপি বড়ঘোপ থেকে ক্রয় করে সুপেয় পানি সংগ্রহ করে। তাই দ্বীপে জরুরী ভিত্তিতে সুপেয় পানি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান তাঁরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ধরার সদস্য রাইতুল ইসলাম রাহাত, মোরশেদ, তৌহিদ, বাদশা এবং এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের শতাধিক লোকজন