ই-পেপার | রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে মহিলা দলের পদের প্রতিযোগিতায় নেত্রীরা

নজরুল ইসলাম :

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর নগর মহিলা দলের নতুন কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও নগর বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পছন্দ অপছন্দের কারনে কমিটি ঘোষণা করতে দেরী হচ্ছে বলে একটি সূত্র জানায়।

চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের ব্যানারে বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ময়দানে বিগত দিনে সব চেয়ে বেশী স্বক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন মহিলা দলের সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, নগর মহিলা সাধারণ সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেত্রী জেলি চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ও সিটির সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জেসমিনা খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আঁখি সুলতানাসহ কয়েজন নেত্রী মহিলা দলের পদের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তারা তাদের প্রত্যাশিত পদ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। ছাড়া বিভিন্ন মাঠে ময়দনে আন্দোলন সংগ্রামে মিটিং মিছিলে ছিলেন মনোয়ারা বেগম মনি, আঁকি সুলতানা, ফাতেমা বাদশা, জেসমিনা খানম, জেলী চৌধুরী, রাহেলা জামান, ছকিনা বেগম, সাইমা আকতার, শাহেনা আকতার প্রমুখ মহানগর মহিলা দলের ব্যানারে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে জেল, জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে চট্টগ্রামের বিএনপির কর্মসূচিগুলোর মধ্যে বড় একটি অংশ গ্রহণ মহিলা দলের নেতা কর্মীদের উপস্থিতি দেখা যায়।

 

এরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নগর মহিলা দলের সভাপতি ও কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক জেসমিনা খানম, সাংগঠনিক সম্পাদক আঁকি সুলতানা, ফাতেমা বাদশাসহ অনেকের বিরুদ্ধে আন্দোল সংগ্রাম করতে গিয়ে নগরীর বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে ১০/১৫টি রাজনৈতিক মামলাও রয়েছে।

 

চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের কমিটির গত ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টম্বর মনোয়ারা বেগম মনিকে সভাপতি, জেলী চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫১ জনের কমিটি গঠন করনা হয়। কমিটি গঠনের পর এ পর্যন্ত ৩০টি ওয়ার্ড কমিটি, ১২ থানায় মহিলা দলের কমিটি রয়েছে তার স্বক্রিয়ভাবে সাংগঠনিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে নেতা নেত্রীরা জানায়।

 

নগরীর মহিলা দলের মধ্যে চার নেতার অনুসারী রয়েছেন তারা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের অনুসারী রয়েছে।

 

নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি বলেন , আমি যতটুকু সম্ভব মহিলা দলের জন্য কাজ করেছি, দলের প্রত্যেক কর্মসূচি পালন করেছি, একাধিকবার জেল, জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি, আমার বিগত দিনের কর্মকান্ডকে মুল্যায়ন করে আমাকে সভাপতি পদে আবার দায়িত্ব দিবেন দল এটা আমার বিশ্বাস।

 

নগর মহিলা দলের সভাপতি প্রার্থী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা বলেন, বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে রাস্তায় কেউ না থাকলেও মহিলা দলের নেতা কর্মীরা মাঠে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। গ্যাস সংকট,বিদ্যুৎ সংকট, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মহিলা ইতিমধ্যে ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রাম করছি । আমি মহিলা দলের দায়িত্ব পেলে চট্টগ্রামে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

 

নগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ও কাউন্সিলর জেসমিনা খানম বলেন, আমি দলের প্রত্যেক কর্মসূচিতে ছিলাম, দলকে এগিয়ে নেয়ার জন্য মাঠে ময়দানে কাজ করে গেছি, নির্যাতনের শিকার হয়েছি, চেষ্ঠা করেছি, এলাকার গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে সেবা করতে, মহিলাদের সংগঠিত করে প্রত্যেক এলাকা মহিলাকে নিয়ে শহীদ জিয়ার আর্দশে মহিলাকে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, আমাকে দলের পক্ষ থেকে সভাপতির দায়িত্ব দিলে মহিলা দলকে নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ড ইউনিট,পাড়া মহল্লায় শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবে বলে তিনি জানায়।

 

এ প্রসঙ্গে মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী আঁকি সুলতানা বলেন, ছাত্র জীবনে ছাত্রদলের দায়িত্বে ছিলাম, বিএনপির ও শহীদ জিয়ার আর্দশ নিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছি, বেগম খালেদার প্রত্যেক ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ পথে ছিলাম, চারবার গ্রেফতার হয়েছি, আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে মামলা হামলার শিকরা হয়ে কোর্টের বারাদ্দায় নিয়মিত হাজিরা দিতে হচ্ছে।

 

আমি নিজকে দলের একজন পরীক্ষিত সৈনিক মনে করি। ছাত্র জীবনে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। সংগঠণ চালানোর মত আমার যতেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেলে নগরীর প্রত্যেক ঘরে ঘরে, ওয়ার্ড, ইউনিটে মহিলাদের অধিকার আদায়, নির্যাতিত নাীদের পাশে দাড়িয়ে গণমানুষের দলে পরিনত করার জন্য কাজ করে যাব।

 

মহিলা দল নগরীর যে কোনো এলাকায় মহিলাদের কোনো সমস্যার খবর পাওয়ার সাথে সাথে তাদের পক্ষ হয়ে কাজ করবে। চট্টগ্রামের মহিলা দল হবে সারা দেশের একটি মড়েল সংগঠন হিসেবে যা রুপ দেয়া হয় তা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪