নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে ব্যস্ততম দিন পার করেছেন। দিনের নানা কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া অভ্যর্থনা ও রাজসিক ভোজসভায় যোগ দেন তিনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে আসা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার স্ত্রী জিল বাইডেনের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।এর আগে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইউএনজিএর ৭৮তম অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিক’ শীর্ষক উচ্চস্তরের সাইডলাইন সেশনে তিনি এ আহ্বান জানান। এ মডেলে আগ্রহীদের সহায়তার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
পরে জো বাইডেনের ভোজসভায় অংশগ্রহণ ছাড়াও তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।সপ্তাহব্যাপী জাতিসংঘ সম্মেলনে মঙ্গলবার ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন। এদিন সকাল ৯টায় আবাসস্থল হোটেলে আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জির মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে জাতিসংঘ সম্মেলনে সাইডলাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শ্রীলঙ্কা, ডেনমার্ক ও তিমুর লেস্টের সরকারপ্রধানের সঙ্গে।
বক্তৃতা করেন সম্মেলনের প্ল্যানারি সেশনের দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা জাতিসংঘ স্বীকৃত।সরকারপ্রধান বলেন, গ্লোবাল সাউথের উদীয়মান কণ্ঠস্বর হিসেবে বাংলাদেশ এই মডেলে আগ্রহীদের সঙ্গে উপলব্ধি এবং দক্ষতা বিনিময় করতে প্রস্তুত।এসময় তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবা অর্থের অপচয় রোধ করতে এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর রক্ষাকবচ হিসেবে পাঁচটি ফরমুলা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য আন্তর্জাতিক পাবলিক ফাইন্যান্সিং বৃদ্ধি এবং দক্ষতা নিশ্চিতকরণ’ শিরোনামে উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন (এফএফডি) বিষয়ে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে একটি উচ্চ পর্যায়ের বিতর্কে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
একই দিন তিনি মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যামবিশন সামিট; মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক; নারী নেতাদের ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মের বার্ষিক সভা; ক্লাইমেট অ্যামবিশন উচ্চস্তরের জলবায়ু উচ্চস্তরের বিষয়ভিত্তিক সম্মেলনের পাশাপাশি ন্যাশনাল জুরিসডিকশনের বাইরের এলাকার সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য আইনের ওপর জাতিসংঘের কনভেনশনে যোগ দেবেন।